ক্রিড়া প্রতিবেদক:
ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে দাপট দেখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার পেসাররা। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে স্বাগতিক দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা লিটন দাস বলছিলেন, এই টেস্টে চালকের আসনে বসতে গেলে বুধবার তৃতীয় দিনের সকালে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে পেস বোলিং ইউনিটকে। বাড়তি দায়িত্ব নিতে না পারলেও ধারাবাহিক লাইন-লেংথে বল করেছেন দুই পেসার। সঙ্গে সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে প্রথম সেশনে খানিক স্বস্তি বয়েছে দলে।
স্বস্তি বলতে আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে ফেরানো গেছে। কিন্তু আক্ষেপ আর আফসোসও নেহায়েত কম নয়। একজন অফ স্পিনারের আকালে প্রতিপক্ষকের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করতে পারেননি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাঈম হাসানের চোটে যেই মোসাদ্দেক হোসেনকে একাদশে রাখা হয়ছে, সেই মোসাদ্দেক বল হাতে তুলেছেন মোটে ২ ওভারের জন্য!
এর সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে শুরু হয় বৃষ্টি। তাতে প্রথম সেশনের খেলা শেষের ঘোষণা আসে। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান নিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে গেছে লঙ্কানরা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ২৫ এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ৩০ রান নিয়ে দিনের দ্বিতীয় সেশনে আবার ব্যাটিংয়ে নামবেন। বাংলাদেশের থেকে প্রথম ইনিংসে এখনো ১৫৫ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের থেকে ২২২ রানে পিছিয়ে ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে শীলঙ্কা। যেখানে করুনারত্নে ৭০ এবং নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা কাসুন রাজিথা ০ রান নিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নামেন। তবে সুবিধা করতে পারেননি রাজিথা।
বাংলাদেশ দলের শুরুর সাফল্যটা আসে এবাদত হোসেনের হাত ধরে। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাট করতে নামা কাসুন রাজিথাকে দিনের দ্বিতীয় বলেই ফেরান ডানহাতি এই পেসার। এবাদতের অফ স্টাম্পের ওপর লেংথ বলের লাইন মিস করেন রাজিথা। তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল ছোবল দেয় অফ স্টাম্পে। কোনো রান না করেই সাজঘরের পথে হাঁটেন রাজিথা।
বাংলাদেশ দলের গলার কাটা হয়ে ঝুলছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নে। আগের দিন কয়েক দফা জীবন পেয়ে সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন তিনি। তাকে সাজঘরে ফিরিয়ে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তির সুবাতাস বইয়ে দেন সাকিব। তার রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলটি অফ স্টাম্পের ওপর থাকায় সেটি এক পা এগিয়ে খেলেন করুনারত্নে। কিন্তু শেষ মুহূর্ত বল ড্রিফট করায় ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল ছোবল দেয় স্টাম্পে। ৯ চারে ১৫৫ বলে ৮০ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
এমআই