মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জয়নারায়নপুর ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ধর্ষক মাওলানা আবু আবছার মো.মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকি ও মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি প্রদর্শনের প্রতিবাদে ও তাকে গ্রেফতারের দাবিতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে যৌন নিপিড়ন প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে এলাকাবাসী ও সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন যৌনি নিপিড়ন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ন আহবায়ক ফোরকান উদ্দিন মিলন, সদস্য সচিব মো.ফরহাদ, শিক্ষার্থী মামুনুর রশিদ ও তোফায়েল আহম্মেদ।
গত ৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৮টার দিকে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা আবু আবছার মো.মিজানুর রহমান মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর এক ছাত্রকে মোবাইফোনে কল করে বেগমগঞ্জের মীর ওয়ারিশপুর কেন্দুরবাগ এলাকায় অধ্যক্ষের ভাড়া বাসায় জরুরী কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ছাত্রটি গত ১৭ এপ্রিল দুপুরে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করি। পুলিশ আমার মামলায় অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে জেলা হাজতে প্রেরণ করেন।
ওই মামলায় গত ১০ মে অধ্যক্ষ জামিনে মুক্তিপান। জামিনে মুক্তিপেয়ে তিনি বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে একটি সিএনজি যোগ ৩ সন্ত্রাসীকে আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের জয়নারায়নপুর গ্রামের আমার লজিং বাড়ীতে হানা দেয়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে বলেন মিজান হুজুরের নামে যে মামলা দায়ের করেছ তা তুলে নাও মামলা তুলে না নিলে তোমাকে শেষ করে দেওয়া হবে এবং তোমার বাড়ীঘর আগুনে পুড়ে দেওয়া হবে। যে কোন সময় অধ্যক্ষ ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা মামলার বাদীকে হত্যা করতে পারে। এই ঘটনায় বাদী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেছেন। তার অধ্যক্ষ্যের পুনরায় গ্রেপ্তার দাবি জানান।
এই ব্যাপারে অধ্যক্ষ মাওলানা আবু আফসার মো.মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমার কোন সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে পরিচয় নেই এবং কাউকে আমি মামলার বাদীর কাছে পাঠাইনি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)জাহিদুল হক রনি বলেন,হুমকির বিষয়টি থানায় পাল্টা পাল্টি জিডি হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
সময় জার্নাল/এলআর