নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের সব বিভাগে একযোগে অনুষ্ঠিত ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কোনো ধরনের প্রশ্নপত্র ফাঁস বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।
পরীক্ষা চলাকালে শুক্রবার (২৭ মে) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এদিন সকাল ১০টায় ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে ২০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার এ পরীক্ষা শুরু হয়। সাড়ে তিন লাখেরও বেশি আবেদনকারীর এ পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ১২টায়।
পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, এখন পর্যন্ত যেহেতু সমস্যা হয়নি তাহলে আর সম্ভাবনাও নেই। কারণ, পরীক্ষা শুরুর ১৫ থেকে ২০ মিনিট ঝুঁকি থাকে। আমরা যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগও নেই। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিসিএস এমসিকিউ পরীক্ষার ছয় সেট প্রশ্ন করেছি। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় লটারির মাধ্যমে সেট পছন্দ করে প্রিন্ট দিয়ে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সেট পছন্দ করার ক্ষেত্রে সব সময় আমরা দুজন সম্মানিত ব্যক্তির উপস্থিতিতে লটারি সম্পন্ন করে থাকি। এ বছর অধ্যাপক ড. শওকত আলী স্যার এবং যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে লটারি সম্পন্ন হয়েছে।
৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেশের সব বিভাগে একযোগে শুরু হয় শুক্রবার (২৭ মে) সকাল ১০টায়। ২০০ নম্বরের দুই ঘণ্টার এ এমসিকিউ পরীক্ষা চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
৪৪তম বিসিএসে সারাদেশে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন। এ বছর বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেবে সরকার। সে হিসাবে ৪৪তম বিসিএসে আসনপ্রতি লড়ছেন ২০৫ জন পরীক্ষার্থী।
পিএসসি জানিয়েছে, ৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তার মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, করে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। প্রথম দফায় আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ পর্যন্ত করা হয়।
সময় জার্নাল/এলআর