নিজস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন ও চাপে বাধ্য হয় আমাকে মুক্তি দিতে। সে সময়ের সরকার অবাক হয় যে, ১৫ দিনে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ সই সংগ্রহ করা হয়। এটাই আওয়ামী লীগ, জনগণই হলো আমাদের শক্তি।
শনিবার (১১ জুন) দুপুরে গণভবনে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় এসব কথা বলেন তিনি।
শুভেচ্ছার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে। যতবার গ্রেফতার হয়েছি, ততবারই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি, দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির মাধ্যমে তাদের নিদের্শনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে। এটা বাবার সময়ও দেখেছি। জেলে বসে দেশ কীভাবে চালাবো, দল কীভাবে চালাবো সেসব লিখে রেখেছিলাম। কীভাবে উন্নয়ন করবো, সেসব পরিকল্পনা লিখে রাখি।
‘দেশে ফেরার পর ৮৩ সালে গ্রেফতার করা হয়। ডিজিএফআইয়ের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নানা সময়ই গ্রেফতার হতে হয়েছে। তবে কারও কাছে কোনো দিন মাথা নত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাই নি। আমি পরিবার ও বাবার কাছ থেকে এটা শিখছি যে, কারো কাছে বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না।’
‘আমরা এখন সরকারে। জনমানুষের কল্যাণ আমরা বুঝি, সেটাই করে যাচ্ছি। আজ প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে সঠিকভাবে। আমরা একটি বাজেট দিয়েছি। উন্নত দেশে জিডিপি মাইনাসে। অথচ আমরা সেটি পাঁচ ভাগের ওপরে রেখেছি। আন্তর্জাতিকভাবে এত বাধা, তবুও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। তারপরও কিছু মানুষ এটিকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না।’
গণভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুভেচ্ছা বক্তব্যে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবসকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস বলে আখ্যা দেন তিনি।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ গণতন্ত্রের বিজয় দিবস। এ দিন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করেছে। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাঙালি ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে।