এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর ২ আসন (নগরকান্দা-সালথা) দুই উত্তরসুরি রাজনৈতিক যুদ্ধ হবে। দুই উত্তরসুরীরা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক, প্রবীন রাজনৈতিক নেতা, মাননীয় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পুত্রদ্বয় আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরী ও শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী।
অপরদিকে আছেন, স্বাধীনতা যদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক, বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা, সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমানের কন্যা শামা ওবায়েদ রিংকু।
তবে বর্তমানে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অসুস্থতা জনিত কারণে সংসদ উপনেতার রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে লাবু চৌধুরী তার ও আ:লীগের পক্ষে এলাকায় সকল কাজ করছে।
ইতিপূর্বে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পক্ষে তার বড় পুত্র বাবলু চৌধুরী দেখাশোনা ও পরিচালনা করতেন।
জানা যায়, ফরিদপুর সংসদীয় আসন ২ (নগরকান্দা-সালথা) এ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও কে এম ওবায়দুর রহমান দুজনেরই অবদান রয়েছে অনেক এবং এলাকার জনগন দুইজনকে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে।তবে সাজেদা চৌধুরীর পরিবর্তে তার পুত্ররা কতটুকু গ্রহনযোগ্যতা পাবে তা এখনো বুঝা যাচ্ছে না।
এদিকে পিতার অনুসারীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বর্ষীয়ান নেতা কে এম ওবায়দুর রহমানের একমাত্র কন্যা শামা ওবায়েদ রিংকু। গ্রামের বাড়িতে প্রতিনিয়ত এসে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বিভিন্ন সমস্যা কর্মীদের সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে যদি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী নির্বাচন না করে সে ক্ষেত্রে ৯০ ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে শামা ওবায়েদ রিংকুর। তার পিতার উত্তরসুরি কন্যা হিসেবে এগিয়ে আছে অনেক।সব মিলিয়ে শামা ওবায়েদ রিংকু বিএনপির পক্ষে এগিয়ে আছে।
অপরদিকে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীও এগিয়ে আছে কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে তার সন্তানদের নিয়ে। এলাকাবাসী কতটুকু গ্রহণ করবেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সন্তানদের। গত ৭/৮ বছরে নগরকান্দা ও সালথায় রাজনৈতিক ও এলাকাভিত্তিক দলীয় সমস্যা লেগেই আছে। এ পর্যন্ত ২০/৩০ জন খুন হয়েছে এবং শতশত বাড়ি ঘর পুড়িয়ে ও ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাভিত্তিক সংঘর্ষে তার কোন প্রতিকার করতে পারেননি। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী রাজনৈতিক প্রতিনিধি তার পুত্র লাবু চৌধুরী। বছর পূর্বে আসে সালথা উপজেলা পরিষদ ও এসি ল্যান্ড অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় এলাকায় বহু লোক মামলার আসামী হয়েছে জেল খেটেছে লক্ষ লক্ষ টাকার অর্থ দন্ডি গেছে। কিন্তু এলাকার পক্ষে লাবু চৌধুরী কোন ভূমিকা ছিল না। এলাকার জনগনকে রক্ষা করার জন্য কোন ভুমিকা পালন করে নাই। (এ অভিযোগগুলো এলাকার ভুক্তভোগীর জনগনের। তাদের নাম না দিতে অনুরোধ করায় উল্লেখ করা হলো না)।
মাসের পর মাস বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে রয়েছে বাড়ির পুরুষরা । মহিলারা মাঠ থেকে পাট-ধান পিয়াজ কেটে বাড়ি আনছে। গড়ে দুই উপজেলায় কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ সমস্যাগুলো হতো না যদি সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী সুস্থ থাকতেন। এলাকার কেউ ভয়ে কোন কথা বলে না।স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও লাবু চৌধুরীর ভয়ে কথা বলতে গিয়ে বিভিন্ন সময় আওয়ামীলীগের দলীয় নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
আওয়ামীলীগ ও বিএনপির অনেক মূল নেতারা জানান , ফরিদপুর দুই আসনে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বিকল্প নেই, তবে যদি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী নিজে প্রার্থী হতে পারেন।আর যদি প্রার্থী হতে না পারে সে ক্ষেত্রে শ্যামা ওবায়েদ বিকল্প নেই। সব মিলিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে দুই উত্তরসূরি রাজনৈতিক যুদ্ধ হবে বলে মনে করে এলাকাবাসীরা।
আগামীতে সাজেদা চৌধুরীর পরবর্তীতে আঃলীগের রাজনীতির হাল ধরবে এ সকল নেতারা ও নগরকান্দা- সালথার দুঃ সময়ে পাশে নেই । তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সাংসদ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল ও অপর আঃ লীগ নেতা মেজর আ ত ম হালিম, জামাল হোসেন মিয়া, কামাল হোসেন মিয়া। এদের কাছ থেকে এলাকাবাসীর অনেক আশা ছিল ।
সময় জার্নাল/এলআর