সর্বশেষ সংবাদ
সময় জার্নাল ডেস্ক: পদ্মা সেতুর স্থায়িত্বকাল ধরা হয়েছে ১০০ বছর। এ সময়ে সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে সরকার। আবার সেতু নির্মাণে যে ব্যয় হয়েছে, তা তোলা হবে টোল আদায়ের মাধ্যমে। সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও আশানুরূপ টোল আদায়ের জন্য পদ্মা সেতু পরিচালনায় রাষ্ট্রায়ত্ত একটি কোম্পানি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেতু বিভাগ। গত মাসে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় এই কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।সরকার যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের সময় ‘যমুনা সেতু’ বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছিল। পরে সেটিই সেতু কর্তৃপক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। সেতু কর্তৃপক্ষ সেতু বিভাগের একটি সংস্থা। এর অধীনে মুক্তারপুর সেতুও রয়েছে। একইভাবে পদ্মা সেতুর জন্য স্বতন্ত্র সত্তা গঠন করতেই নতুন কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবশ্য সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলছেন, নতুন কোম্পানি না করে সেতু কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বাড়ানোই যথেষ্ট। নতুন করে কোম্পানি গঠনের অর্থ হচ্ছে বাড়তি ব্যয়। বর্তমানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও পরামর্শক বাদে পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট জনবল ৯৫। এর মধ্যে প্রকল্প পরিচালকসহ বড় পদে রয়েছেন ৩২ জন। তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর, রেলওয়েসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে এসেছেন। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তাঁরা নিজ নিজ বিভাগে ফিরে যাবেন। কারও কারও চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় হয়ে যাবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে সহকারী পরিচালক, উপসহকারী পরিচালক, হিসাবরক্ষক, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, গাড়িচালক, অফিস সহায়কসহ বিভিন্ন পদে আছেন ৬৩ জন। তাঁদের চাকরি স্থায়ী নয়। তাঁদের দাবি, চাকরি স্থায়ী করা হোক। নতুন কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তারা এখনই পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের দায়িত্ব নেবে না। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) ও পদ্মা সেতু নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে (এমবিইসি)। তারা ৫ বছরে ৬৯৩ কোটি টাকা পাবে। ঠিকাদারদের তদারক করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, কোম্পানি গঠনে নানা আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি দরকার। সেই প্রস্তুতি এখন চলছে। এরপর জনবল নিয়োগসহ নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেতু বিভাগের এক কর্মকর্তা গত রাতে জানান, পাঁচ বছরের জন্য পদ্মা সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কারণ হচ্ছে, এ সময়ে কোম্পানি গঠন বা নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর কাজটি করতে চায় সরকার। সময় জার্নাল/এসএম
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল