নিজস্ব প্রতিনিধি: পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র স্রোতের কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় মহাসড়কে চার কিলোমিটারে কয়েক শ’ যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। ৮-১০ ঘণ্টায়ও ফেরির নাগাল পাচ্ছে না যানবাহনগুলো।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ ঘাট পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল।
সোমবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রতিটি ফেরি নদী পার হতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে। এর ফলে ফেরির টিপ কমে গিয়ে ঘাটে যানজট তৈরি হচ্ছে।
ফলে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়াল রয়েছে। এর মধ্যে ১ কিলোমিটার এলাকায় বাসের সিরিয়াল রয়েছে। তবে জনদুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহন ও কাঁচামালবোঝাই ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছে কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ট্রাকচালক সোহেল মোল্লা জানান, রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট অভিমুখে যানবাহনের দীর্ঘ সারিতে তিনি আটকা পড়েছেন। তিনি বলেন, সামনে শতশত গাড়ির জট, তাতে বিকেলেও ফেরি পাবো কিনা বুঝা যাচ্ছে না। কখন পাবো তাও বলতে পরছি না।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরির মধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। বাকি ৪টি ফেরি মধ্যে ২টি ফেরি তীব্র স্রেতের বিপরীতে চলতে না পারায় বসিয়ে রাখা হয়েছে এবং ২টি ফেরি মেরামতে রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার নদী পারের অপেক্ষায় কিছু যানবাহন সিরিয়ালে আটকা পড়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ চাপ কমে আসবে। তবে দুর্ভোগ কমাতে যানবাহন ও কাঁচামালের ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর