এহসান রানা, ফরিদপুর : ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন চলাকালে ফুকরা বাজারে এ্যাসিল্যান্ডের এক সহকারীর সাথে স্থানীয় জাকির মোল্লার তর্কা তর্কিতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে । ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালথা থানা ও উপজেলা পরিষদের সরকারী প্রায় সব অফিস ও বাসায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এর ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সালথা থানায় এজাহারীয় ৮৮ জনের নাম ও অজ্ঞাত তিন থেকে চারহাজার জনের নাম দিয়ে এই মামলাটি করেন পুলিশের উপপরিদর্শক ( এস আই ) মোঃমিজান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃজামাল পাশা জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে একটিমামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরো মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে ও তিনি জানান।
উল্লেখ্য গত সোমবার রাতে লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে জনতার সঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও তার সহকারীদের তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা।
এক পর্যায়ে ঐ ঘটনার সুত্র ধরে স্থানীয়রা উপজেলা পরিষদ, থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনসহ বিভিন্ন অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় ৫৮৮ রাউন্ডশটগানের গুলি, ৩২ রাউন্ড গ্যাসগান, ২২ টিসাউন্ড গ্রেনেড এবং ৭৫ রাউন্ড রাইফেলের গুলিছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এতে রামকান্তপুরএলাকার জুবায়ের হোসেন(১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়। নিহত জুবায়ের উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের আশরাফ আলী মোল্যার ছেলে। এসময় গুলিবৃদ্ধ হয় আরো তিন থেকে চারজন। তাদেরকে ঢাকা ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন আমির, মিরান ও মামুন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃজামাল পাশা জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত ১৩জনকে আটক করা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এমআই