সময় জার্নাল ডেস্ক: ঘর থেকে পানি নামতে শুরু হলেও ঘরে খাবার নেই। যেটুকু ধান-চাল ঘরে ছিল, তাও ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বন্যার পানি। অনেকেই না খেয়ে রয়েছেন। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বানভাসি মানুষ ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। কিছু মানুষ ত্রাণ পেলেও বেশির ভাগই এখনো রয়েছেন ত্রাণ বঞ্চিত। গতকাল দুপুরে বন্যাদুর্গত সদর উপজেলার লালপুর, রসুলপুর, মনিপুরিহাটিসহ বিভিন্ন গ্রামে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ত্রাণবাহী নৌকা দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন বানভাসি মানুষ। ত্রাণের আশায় বৃদ্ধ থেকে শিশু সবাই জড়ো হন। পর্যাপ্ত ত্রাণ না থাকায় অনেকেই খালি হাতে ফিরছেন।
পাঁচদিন পর সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে যান চলাচল। তবে জেলার অভ্যন্তরীণ অনেক সড়ক এখনো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় সেগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।
জেলায় ছয় শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন দুর্গতরা। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খাবার বিতরণ করছে প্রশাসন। এ ছাড়াও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র্যাব, কোস্ট গার্ড, বিআইডাব্লিউটি, ব্যক্তি উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে, সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও বাড়ছে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি। ফলে অবনতি হচ্ছে জেলার বন্যা পরিস্থিতি। তবে শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার (২২ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের গেজ রিডার হাসানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও বাড়ছে ইছামতি, ফুলঝোড়, করতোয়া, বড়াল ও চলনবিলের পানি। জেলার এ সকল অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ইতোমধ্যেই জেলার পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের অন্তত ২০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ বুধবার ভোর থেকে শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর