স্পোর্টস ডেস্ক:
অ্যান্টিগা টেস্ট ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান বাদে কেউই দাঁড়াতে পারেননি ব্যাট হাতে। প্রথম ইনিংসে তো ৬ জন আউট হন শূন্যের কোঠায়। ব্যাটারদের দুঃসময়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন টাইগার বোলাররা। আর ইবাদত-খালেদদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই সেন্ট লুসিয়া টেস্টে টাইগারদের সমীহ করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক ডেসমন্ড হেইন্স।
অ্যান্টিগায় প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে থামে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিব-সোহান জুটির কল্যাণে ২৪৫ রান পায় টাইগাররা। তবে প্রথম ইনিংসের ক্ষতি পোষানো সম্ভব হয়নি। ৭ উইকেটের জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাটাররা বড় স্কোর এনে না দিলেও বোলারদের লড়াই ছিল দেখার মতোই। প্রথম ইনিংসে তিন পেসার- খালেদ আহমেদ, ইবাদত হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান বেশ আঁটসাঁট বোলিং করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল বোলারদের নৈপুণ্যে।
সাবেক কিংবদন্তি ডেসমন্ড হেইন্স বলেন, ‘বাংলাদেশকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগই নেই। তারা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তাদের বোলিংটা বেশ শৃঙ্খলাপূর্ণ।’
খেলোয়াড়দের প্রশংসা করে হেইন্স বলেন, ‘অ্যান্টিগায় আমাদের জয়টা ছিল দারুণ। বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমরা সেন্ট লুসিয়ায় যাচ্ছি। আমরা জানি, সেখানে সর্বোচ্চটা দিয়েই জিততে হবে। তবে আমাদের দলও শৃঙ্খলাপূর্ণ। এ দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দিয়ে খেলেছে।’
রানিং খেলোয়াড়দের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট সংগ্রাহক কেমার রোচ। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের আতঙ্ক ছিলেন অভিজ্ঞ এই পেসার। ম্যাচে ৭৪ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে তিন ৫ উইকেট নেন ৫৩ ওভারে। এতে ২৫০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলকের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন রোচ। আর একটি উইকেট পেলেই তিনি ছাড়িয়ে যাবেন কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিংকে।
রোচকে প্রশংসায় ভাসান হেইন্স, ‘কেমার রোচ তো জীবন্ত কিংবদন্তি। দারুণভাবে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। মাঝখানে চোটে ভুগলেও দারুণ পরিশ্রম করে সে ফিরেছে। এখন কেমার আমাদের শীর্ষ উইকেটশিকারি। সে বিশ্বেরও অন্যতম সেরা। আমি তার পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি। যেভাবে সে দলের তরুণ বোলারদের সঙ্গে মেশে, তাদের পথ দেখায়, সেটা অসামান্য।’
এমআই