সময় জার্নাল ডেস্ক: সিলেট-সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের হিসেবে ৯০ শতাংশ মানুষ বাড়িতে ফিরেছেন। কিন্তু বাড়ি ফিরেও কষ্টের শেষ নেই। খাওয়ার ব্যবস্থা নেই, ক্ষতিগ্রস্ত ঘর সংস্কারে এখন তাদের নাভিশ্বাস।
অনেকেই আবার আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে গিয়েছেন। কারণ বাড়িতে ফিরে নেই খাওয়ার নিশ্চয়তা, বাড়ি সংস্কারে হাতে নেই কোনো টাকা। সামনে কী করবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই তাদের। সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ কার্যক্রম চললেও দুর্গম এলাকাগুলোতে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ত্রাণের নৌকা দেখলেই বন্যাকবলিতরা হাত উঁচিয়ে ডাকছেন। ডাক না শুনলে সাঁতরিয়ে ত্রাণবাহী নৌকা ধরার চেষ্টা করছেন। কেউ সাঁতার কেটে কেউবা গলাসমান পানিতে নেমে ত্রাণের নৌকা ধরার চেষ্টা করছেন। সাঁতরিয়ে বা গলাসমান পানিতে নেমে কেউ কেউ ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করতে পারলেও অনেকে ফিরছেন খালি হাতে।
অপরদিকে গত দু’দিন ধরে প্রচণ্ড গরম শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়িঘর এবং উঠান থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। ঘরবাড়ি থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। কাদায় বসতঘর ভরে গেছে। পা ফেলানোর জায়গাটুকু নেই ঘরে। কোনো উপায় না পেয়ে কেউ কেউ ঘরের মধ্যে বালি দিয়ে কোনো রকম রাত যাপন করছেন। ভয়াল বন্যার আঘাতে অনেকের বাড়িঘর পানির স্রোতে নিয়ে গেছে।
এদিকে উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্র সহ বন্যাকবলিত গ্রামগুলোতে পানিবাহিত রোগ দেখে দিয়েছে। সেই সঙ্গে বানভাসি অনেক শিশু জ¦র ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ উপজেলার কোনো কোনো ইউনিয়নে এখনো বন্ধ রয়েছে। নেটওয়ার্ক থাকলেও একেবারে দুর্বল।
সময় জার্নাল/এলআর