সর্বশেষ সংবাদ
প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর:
সময় জার্নাল ডেস্ক: মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে ২৬ জুন মাদকবিরোধী মানববন্ধন,র্যালি এবং ওসমানী স্মৃতি মিলতায়ন আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান,এম,পি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি এ্যাড.মোঃ শামসুল হক টুটু, এবং বিশেষ অথিতি হিসেবে থাকবেন এমপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব মোঃ মোকাব্বির হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদক নির্মূল করার জন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাদকের চাহিদা শিগগিরই অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। রোববার (২৬ জুন) ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত।শেখ হাসিনা বলেন, একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে মাদকাসক্তদের সুচিকিৎসার প্রয়োজন। এজন্য আমাদের সরকার বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরইমধ্যে মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত বেসরকারি ও পরামর্শকেন্দ্রগুলোকে সরকারি অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা বাড়াতে বিদ্যমান সরকারি কেন্দ্রগুলোতে শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং ঢাকার কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করাসহ ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগে ২০০ শয্যা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচাররোধে আমাদের সরকার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা সরকার গঠনের পর মাদক নিয়ন্ত্রণে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করি। মাদক অপরাধ দমনে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ ঘোষণা অনুযায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ দেশের সব আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত আইন যুগোপযোগী করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। “বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি খুশি হয়েছি।মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। ধনী-দরিদ্র, দেশ-কাল-পাত্র নির্বিশেষে কেউ মাদকের করাল গ্রাস থেকে নিরাপদ নয়। আমি জানতে পেরেছি বাংলাদেশে মাদকাসক্তির প্রধান শিকার আমাদের যুবসমাজ যা রাষ্ট্রের জন্য বিশাল হুমকিস্বরূপ। কারণ যুবসমাজ জাতির প্রাণশক্তি এবং উন্নয়নের প্রধান কারিগর। যুবসমাজকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচাতে হলে পরিবারসহ সমাজকে উদ্যোগ নিতে হবে। উঠতি বয়সী সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে, স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে কি না তা অভিভাবকদের সর্বাগ্রে নজর দিতে আমি অনুরোধ জানাই। হতাশা মাদকাসক্তির অন্যতম কারণ। তাই হতাশা রোধে যুবসমাজের জন্য নিয়মিত লেখাপড়া, খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ জরুরি বলে আমি মনে করি।মাদক দেশের আর্থসামাজিক নিরাপত্তা ও জাতীয় উন্নয়নের একটি বড় অন্তরায়। মাদকের কারণে এদেশে প্রতিনিয়ত বহু পরিবার ধ্বংস হচ্ছে; অকালে ঝরে যাচ্ছে বহু তাজা প্রাণ। সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক অস্থিরতা। মাদকের ভয়ঙ্কর আগ্রাসন থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি মাদকবিরোধী ব্যাপক গণসচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস পালন এই আন্দোলনেরই একটি অংশ। কোন একক সংস্থার পক্ষে মাদকবিরোধী সংগ্রামে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য দলমতনির্বিশেষে দেশের সকল মানুষকে এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই।আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত সকল কর্মসূচির আমি সাফল্য কামনা করি।খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।” এসএমরাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল