মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শেখ নাসির উদ্দিন মাইজভান্ডারী নামে এক বৃদ্ধের পায়ু পথে টর্চলাইট ডুকিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ভূঞার ইন্দ্বনে ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহনেওয়াজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এমন পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগির পরিবার।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইউনিয়নের থানারহাট সংলগ্ন আমানতগঞ্জে এ ঘটনা ঘটে।
নাসির উদ্দিনের ছেলে একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রিপন জানান, শনিবার রাতে স্থানীয় থানারহাট বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তার বাবা। পথে আমানতগঞ্জের দক্ষিণ পাশে জাহের মেম্বারের পুরাতন বাড়ি সংলগ্ন ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহনেওয়াজের নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা তার বাবার পথ রোধ করেন। এ সময় তার দুর্বৃত্তরা তার বাবার মুখ বেঁধে পাশের জঙ্গলে নিয়ে তাকে মারধর করে।
এক পর্যায়ে তার বাবার পায়ু পথে একটি টর্চলাইট ডুকিয়ে দেয়। এতে তার বাবা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে দুর্বৃত্তরা তাকে ফেলে চলে যায়। পরে তার বাবার জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং রোববার ভোরে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ভক্সপপ: মো. রিপন, ভুক্তভোগীর ছেলে ও ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহনেওয়াজের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে কথা হয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ভূঞার সঙ্গে। তিনি দাবী করেন এ ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত নয়। তিনি ঘটনাটি জানতেনও না। পরে লোক মাধ্যমে শুনেছেন। মোবাইল রেকর্ড সট: আবদুল মান্নান ভূঞা, চেয়ারম্যান, চরওয়াপদা ইউনিয়ন।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। ঘটনা স্থল পরিদর্শণ ও ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একজন উপ-পরিদর্শককে দায়িত্ব দিয়েছেন বলেও জানান ওসি।
এ দিকে সকালে প্রায় দেড় ঘন্টা অস্ত্রপাচার চালিয়ে টর্চলাইটটি বের করা হয়। ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতেল আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম জানান, জেনারেল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান মানিকের নেতৃত্বে অস্ত্র পাচার করা হয়। বর্তমানে রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর