অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে মশলা বাজারে আগুন। ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ে এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছে। প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম আদায় করছে।
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় দিন দিন যোগ হতে শুরু করেছে একের পর এক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। এবার যোগ হলো মশলা। বিভিন্ন ধরনের মশলায় এরই মধ্যে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। পর্যাপ্ত মজুদ আছে, তবুও বাড়ছে দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শতভাগ আমদানি নির্ভর এই পণ্যটির দাম বাড়ছে।
খাবার মুখরোচক করতে মসলার জুড়ি নেই। তবে তাতে ভোজনরসিকদের গুণতে হয় চড়া দাম। আমদানি নির্ভর হওয়ার কারণে প্রায় সব ধরনের মসলার দামই এখন ঊর্ধ্বমুখী। চাল, ডাল, ভোজ্যতেলের চড়ামূল্যের বাজারে মশলা জাতীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি বিপাকে ফেলেছে ক্রেতাদের।
মশলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে জিরার। প্রতি কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা। ভালো মানের ১০০ গ্রাম এলাচের জন্য গুণতে হবে ১৭০ টাকা। দাম বৃদ্ধির তালিকায় আছে লবঙ্গ, দারুচিনি, কিসমিস, আলুবোখরাসহ প্রায় সব ধরনের গরম মশলা। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া, আন্তর্জাতিক মসলার বাজারে অস্থিরতা এবং বাড়তি জাহাজ ভাড়াকে এর কারণ হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে চড়া দাম থেকে খানিকটা কমেছে চায়না রসুনের দাম। কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর দেশি রসুন মিলছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে।
নতুন করে দাম বাড়েনি পেঁয়াজ ও আদার। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মিলছে ৪৫ টাকায়। আর আদার জন্য গুণতে হবে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। জেলা শহরসহ দালাল বাজার রাখালিয়া রায়পুর মান্দারীসহ আশপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যাচ্ছে মসলা বিক্রীর সময় ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত হারে টাকা গ্রহণের চিত্র। এই নিয়ে অনেক জায়গায় ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের বাকবিতণ্ডা হতেও দেখা যাচ্ছে।
সময় জার্নাল/এলআর