এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শেষ মুর্হতে জমে উঠেছে পশুরহাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের ভীড়। নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি।
সাইনবোর্ড-বগি আঞ্চলিক মহাসড়ক জুড়ে বসেছে এ হাট। নজর কেড়েছে লাল টুকটুকি, লাল কালাচাঁদসহ বিভিন্ন নামীয় গরু। ক্রেতাদের সুবিধার্থে সার্বক্ষনিক মাঠে রাখা হয়েছে পুলিশের টিম, গ্রামপুলিশ, বাজার কমিটির নিয়ন্ত্রনাধীন স্বেচ্ছাসেবক দল।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি পশুর হাট বাজার। দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে ঐতিয্যবাহী এ উপজেলার সবচেয়ে বড় পশুরহাট নামে খ্যাত এ বাজারটি।
১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা সহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে খামারিরা হাটে এসছেন পাকিস্তানি ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত গরু নিয়ে। পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকেও বেপারিও এসেছেন এ হাটে। বিগত বছরের চেয়ে এবারে দাম বৃদ্ধি। করোনা মাহামারিতে দুই বছরে খামারী ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মন্দা হলেও এবারে ঈদুল আজহায় তা কাটিয়ে উঠবে বলে মনে করছেন একাধিক খামারী ব্যবসায়ীরা।
হাটে গরু নিয়ে আসা আলতিবুরুজ বাড়িয়া গ্রামের মনির শেখ, তার লাল টুকটুকি দাম হাকাচ্ছেন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, কচুবুনিয়ার সাইফুল ইসলাম কবির ফ্রিজিয়ান ১টি গরুর দাম চেয়েছেন ২ লাখ ৬০ হাজার, ইন্দ্রজিৎ সাহা, চাপরি গ্রামের রুস্তুম আলী মোল্লা পাকিস্তানী সিংহি ২টি গরু দাম চেয়েছেন ৫ লাখ টাকা ক্রেতারা দাম বলেছেন আড়াই লাখ। তবে, সামনের একদিনে রাতদিন একাধিক গরু বিক্রি করতে হবে তাদের। তা হলেই বিগত লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন এ বেপারিরা।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. শাহজাহান আলী খান বলেন, কালিকাবাড়ি পশুরহাটটি এ অঞ্চলের একটি বড় হাট। এখানে দূর দূরান্ত থেকে গরু ক্রয় করতে হাজার হাজার লোক আসে। অন্য হাটের চেয়ে এ হাটে খাজনা কম রাখেন আদায়কারিরা। নিরাপত্তারও বিশেষ ব্যবস্থা থাকে প্রতি বছর।
সময় জার্নাল/এলআর