মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হাসিবুল বাশার (২৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লোহার রড, ধারালো কিরিছসহ ১টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত হাসান (৩১) উপজেলার ২নং গোপালপুর ইউনিয়নের মহবুল্লাপুর গ্রামের মৃত আবু মিয়ার ছেলে, জয় (২১) একই গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে।
গতকাল রোববার (১০ জুলাই) গভীর রাতে ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার বাড়াই গোবিন্দ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের তথ্যমতে ঘটনাস্থলের পাশে খাল খেকে ২ টি ধারালো কিরিছ ও ১ টি লোহার রড এবং ১নং আসামি হাসানের প্রজেক্ট থেকে ১টি দেশীয় তৈরি এলজি উদ্ধার করা হয়।
এসপি আরও জানায়, মো. হাসিবুল বাশার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়, বৃহস্পতিবার রাতে হাসিবুলের চাচা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে হাসান বাহিনীর প্রধান হাসানকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার ১০ নম্বর আসামি রকি (২৬) ও ১১ নম্বর আসামি বাহার উদ্দিন (২২) গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ মামলার এখন পর্যন্ত দুই দফায় মোট ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, পূর্ব শক্রতার জের ধরে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের সুবাহান মার্কেট এলাকায় বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. হাসিবুল বাশারকে (২৫) পূর্বপরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে হাসান, মাসুম ও তাদের অনুসারীরা। এ সময় তাদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাশারের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী বলেন, 'পূর্ব শক্রতার জের ধরে উপজেলার ২ নম্বর গোপালপুর ইউনিয়নের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী হাসান, মাদক ব্যবসায়ী মাসুম ও তাদের অস্ত্রধারী সাঙ্গপাঙ্গরা হাসিবুলের ওপর হামলা চালায়।'
এমআই