নিজস্ব প্রতিনিধি: নির্ধারিত ছুটি শেষ হওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। নদী পারাপারে কিছুটা বিঘ্ন ঘটলেও সড়কপথে যানজট-ভোগান্তি ছাড়ায় ফিরতে পেরেছেন বলে জানান সবাই। এদিকে, ঈদের আগে যেতে না পারা অনেককেই বুধবার (১৩ জুলাই) গ্রামের বাড়ি যেতে দেখা গেছে।
বুধবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই দূরপাল্লার পরিবহনগুলো ঢাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে ছেড়ে আশা বাসগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছে। ফেরিপথে কিছুটা যানজট থাকলেও সড়কপথে যানজটের কবলে পড়তে হয়নি বলে জানান যাত্রীরা।
ঈশিতা নামের এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আগে আগেই চলে আসতে হলো। গতকাল রাতে পাবনা থেকে রাত ১১টায় ছেড়ে আসা বাস ভোরে ঢাকায় পৌঁছেছে। রাস্তায় কোথাও তেমন যানজট না থাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে চলে আসতে পেরেছি।
তিনি বলেন, অনেক মানুষ একসঙ্গে যাত্রা করার কারণে ফেরার পথে টিকিট পেতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছিল। তবে, আগে থেকে যারা টিকিট নিয়ে রেখেছেন তাদের সমস্যা হচ্ছে না।
পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষে সাতক্ষীরা থেকে সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন ইব্রাহিম মিয়া। শ্যামলীর বাসায় যেতে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। তার সঙ্গে কথা হলে বলেন, রাতে বাসে উঠেছি, সকাল ৯টায় পৌঁছালাম। ফেরিতে উঠতে প্রায় একঘণ্টা লেগেছে। তবে, ফেরি থেকে নামার পর কিছুটা যানজট থাকলেও বাকি রাস্তায় তেমন কোনো যানজট পাওয়া যায়নি।
পরিবার নিয়ে খুলনায় ঈদ করতে গিয়েছিলেন সরকারি চাকরিজীবী নওশেদ। আজ সকালে তিনি ঢাকায় পৌঁছেছেন। নওশেদ বলেন, অনেকদিন পর বাড়ি গিয়েছিলাম। অফিসে অনেক কাজ জমে থাকায় বাড়তি ছুটি কাটানো সম্ভব হয়নি। একপ্রকার তাড়াহুড়ো করেই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে। কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই ফিরতে পেরেছি।
এদিকে ঈদের আগে বাড়িতে যেতে না পারা লোকজন এখন যাচ্ছেন। কেউ কেউ প্রয়োজনে, কেউ কেউ আবার স্বজনদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ছেন।
ইসমাইল সরকার ঈদের আগে পারিবারিক কারণে গ্রামের বাড়ি যেতে পারেননি। বুধবার পাঁচ দিনের ছুটিতে পরিবার নিয়ে যশোর যাচ্ছেন। সে কারণে সকাল সকাল পরিবার নিয়ে গাবতলী এসে টিকিট কেটে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তার মতো আরও অনেককেই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়।
এদিকে, যাত্রীর চাপ কম থাকায় কিছুটা দেরি করে বাস ছাড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক পরিবহনের টিকিট বিক্রেতারা।
সময় জার্নাল/এলআর