মো: মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, জেলা প্রতিনিধি (ঝালকাঠি):
ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কান্ডপাশা গ্রাম ও দপদপিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গোহালকাঠীর সংযোগ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার কাজ না করার কারনে মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে ।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের পৌরসভার কান্ডপাশা বেইলি ব্রিজ সংলগ্ন (নিচ দিয়ে) এই রাস্তাটি দীর্ঘ ১৫ বছরেও কোনো সংস্কার করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বর্ষায় তলিয়ে আছে ওই সড়কটি। ক্ষোভে স্থানীয় জনসাধারণ রবিবার (১৭জুলাই) সকাল ১০টায় মানববন্ধন'র ডাক দেয়।
প্রায় ২ কিলোমিটার এই রাস্তাটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার সীমানায় হওয়ায় উভয় পক্ষের রসি টানা টানিতে এটি সংস্কারের দায়িত্ব কেউ নিতে চায় না। এর ফলে স্থানীয় প্রায় ৫ হাজার জনসাধারনের জীবন দুর্বিষহ আকার ধারণ করেছে।
বিশেষ করে গোহালকাঠী এবং পুর্ব কান্ডপাশার কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। কোনোমতে ইটের সোলিং দেয়া হলেও তা এখন আর নেই। যার ফলে একটু জোয়ার হলেই অধিকাংশ সময় হাটু পানি থেকে কোমর পর্যন্ত পানির নিচে চলে যায়। বন্ধ হয়ে যায় চলাচল। পায়ে হেঁটে চলাও দ্বায়!
রোগী পরিবহনের কোনো সুযোগ না থাকায় এক প্রকার চিকিৎসা ছাড়াই চলতে হয় তাদের। স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোর ছাত্র-ছাত্রী, গর্ভবতী ও বৃদ্ধদের কস্টের কোনো শেষ নেই, সেই দূর্ভোগ প্রকাশ করার মত তাদের ভাষাও নেই। এই ক্ষোভে, দুঃখে কষ্টে মান অভিমান নিয়ে এলাকাবাসীরা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বলে জানিয়েছেন তারা।
এই রাস্তাটির সংস্কারের জন্য তারা স্থানিয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু, এমপি'র সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
এ প্রতিবেদককে স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দরা বলেন, জাতীয় পর্যায়ের এত বড় মাপের নেতা থাকতে এলাকায় এমন অবহেলা মেনে নেয়া যায় না। তারা দ্রুত এ রাস্তা সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মন্টু জোমাদ্দার,সুমন জোমাদ্দার,জহিরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকলীগ নেতা বালী তাইফুর রহমান তূর্য প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন, গত ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। এই দীর্ঘ সময়ে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হলেও তৃনমুল পর্যায়ের অনেক কিছুই অনুন্নত যা আগামী নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, তাই স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক উন্নয়ন দরকার।
এসময় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শত শত লোক উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয় টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
সময় জার্নাল/এলআর