আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের বিপুল জয়ের ফলে পাকিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের সব হিসাব পাল্টে গেছে। অন্য দিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে হামজা শাহবাজের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন চৌধুরী পারভেজ ইলাহি। ইমরান খানের দল কেবল জয়ই পায়নি, তাদের জয়ের ধরণ ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের পরাজয়ের বিষয়টি বড় ধরনের বার্তা দিচ্ছে। আর তার জের ধরে পাকিস্তানের রাজনৈতিক সমীকরণও পাল্টে যেতে পারে।
যে ২০টি আসনে রোববার উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার মধ্যে ১৫টিতে জয়ী হয়েছে পিটিআই। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) জিতেছে চারটিতে। একটি আসনে জয়ী হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এই নির্বাচনের আগে পিটিআই ও পিএমএল-এন উভয়ের পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে আসন ছিল সমানন ১৭৩টি করে (পিটিআইয়ের ১৬৩ ও তাদের মিত্র পিএমএল-কিউয়ের ১০টি) এখন ১৫টি আসন যোগ হওয়ায় পিটিআইয়ের শক্তি বেড়ে হলো ১৮৮। প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৮৬। অর্থাৎ পিটিআই ও পিএমএল-কিউয়ের তার চেয়ে বেশি আসন আছে। এছাড়া একজন স্বতন্ত্র এমপিএ নতুন ক্ষমতাসীন জোটে যোগ দিতে পারেন।
অন্য দিকে হামজা শাহবাজের নেতৃত্বাধীন জোটের সদস্য সংখ্যা ১৭৯। এতে পিএমএল-এন বৃহত্তম দল হিসেবে রয়েছে। তাদের আসন সংখ্যঅ ১৬৪ (নতুন চারটিসহ)। আর তিনজন স্বতন্ত্র এবং একজন পাকিস্তান রাহ-ই-হক পার্টির।
পিএমএল-এনের দুই এমপিএ জলিল শারাকপুরি ও ফয়সাল নিয়াজি পদত্যাগ করেছেন। আর চৌধুরী নিসার সম্ভবত কোনো প্রার্থীকেই ভোট দেবেন না। পিএমএল-এন-এর দুই সদস্যের পদত্যাগের ফলে পরিষদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭১।
নতুন শক্তিতে বলীয়ান ইমরান খান এখন আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবি আরো জোরালভাবে করতে পারবেন।
সময় জার্নাল/এলআর