মুহা: জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাব কমায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের দুর্গাবাটি এলাকার বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন পয়েন্টে বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয় বোর্ড (পাউবো)। সোমবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক পাউবো’র নিয়োগকৃত ঠিকাদেরর তত্ত্বাবধায়নে এই রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে। ঠিকাদারের কাজে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এদিকে ভাঙ্গন পয়েন্ট দিয়ে খোলপেটুয়া নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভাঙ্গন পয়েন্টের বিস্তৃতি বেড়ে দায়িছে পাঁচশ’ ফুটে। নদীর পানির স্রোতে ভেসে গেছে ৫ হাজারেরও অধিক মৎস্য ঘের ও কাঁকড়ার খামার। এতে প্রায় সাড়ে ৮কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে ওই এলাকার মাছচাষি ও কাঁকড়া খামারিদের। আগামী আমাবস্যার জোয়ারের আগে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করতে না পারলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল খুলনার প্রধান প্রকৌশলী এ.কে.এম তাহমিদুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গন পয়েন্টে বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি ডিজাইন মাফিক সম্পূর্ন বেড়িবাঁধ নির্মাণে একজন ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পাঁচ হাজার জিও ব্যাগ ও পর্যাপ্ত বাঁশ দিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় রিং বাঁধ নির্মাণের কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। পাইলিংয়ের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ হওয়ায় এখন আমাদের আয়ত্ত্বে চলে এসেছে। খুব দ্রত সময়ের মধ্যেই ভাঙ্গন পয়েন্টে বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ হবে।
এদিকে সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এসব চাষীদের তালিকা প্রস্তুত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তালিকা প্রস্তুত শেষ হলে তালিকাটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। জেলা প্রশাসক আশ্বাস্ত করেছেন তিনি ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করবেন।
সময় জার্নাল/এলআর