সর্বশেষ সংবাদ
প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর:
সময় জার্নাল ডেস্ক: মাছ ধরা নিয়ে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে এসব ইলিশের বেশির ভাগ আকারে ছোট। আজ সোমবার সকালে কক্সবাজারের পাইকারি মাছ বিক্রির প্রধান বাজার নুনিয়াছটা ফিশারি ঘাটের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে জেলে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা গত শনিবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। তবে সময়সীমার আগেই কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক ট্রলার সাগরে নেমে পড়ে ইলিশ ধরতে। গতকাল রোববার দুপুরে মধ্যসাগরে নামে জেলার আরও সাড়ে পাঁচ হাজার ট্রলার। এখন ইলিশ ধরে ঘাটে ফিরছে অসংখ্য ট্রলার। আকার ভেদে একেকটি ট্রলার ৫০০ থেকে ৮ হাজার ইলিশ নিয়ে ফিরছে। ইলিশের সঙ্গে থাকে কোরাল, লাক্ষ্যা, চাপা, মাইট্যা, পোপা, গুইজ্যাসহ সামুদ্রিক অন্যান্য মাছ। এতে খুশি ট্রলারের মালিক ও জেলেরা।
কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইলিশ ধরতে সাগরে নেমেছে জেলার টেকনাফ, কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলার অন্তত ছয় হাজার ট্রলার। বেশির ভাগ ট্রলার ইলিশ ধরতে সাগরের ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গভীরে গিয়ে জাল ফেলছে। অবশিষ্ট ট্রলার ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটারে জাল ফেলে।
এখন কাছের ট্রলারগুলো ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছে। দূরের ট্রলারগুলো মাছ ধরে ফিরতে আরও দু-এক দিন সময় লাগবে।সকাল নয়টায় বাঁকখালী নদীর ফিশারি ঘাটে ভেড়ে এফবি হোসেন নামের একটি ট্রলার। ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় ট্রলারের ইলিশ খালাস করা হয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। গণনা করে পাওয়া গেল ৮ হাজার ১৩টি ইলিশ। বিক্রি করে পাওয়া গেল ৪০ লাখ টাকা।
ট্রলারের মালিক ও শহরের নুনিয়াছটা এলাকার বাসিন্দা হোসেন আহমদ বলেন, ৮ হাজার ইলিশের মধে৵ ৭০ শতাংশের ওজন ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম।এফবি নিশান-১ নামের ট্রলার পেয়েছে ৫০০ ইলিশ। মাছের ওজন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। এফবি নিশান-২ ট্রলার পেয়েছে ৯০০ ইলিশ। মাছগুলো একই আকারের। দুটি ট্রলারের মালিক ফিশারি ঘাট এলাকার বাসিন্দা ওসমান গণি। তিনি বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় তাঁর ট্রলার দুটি গভীর সাগরে যেতে পারেনি। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ইলিশ ধরতে ট্রলার দুটি আবার সাগরে নামবে।
ফিশারি ঘাটে পাইকারি ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ১০০ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫ হাজার টাকায়, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ১০০ ইলিশ ৩৫ হাজার টাকায়, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ১০০ ইলিশ ৪২ হাজার টাকায়, ৯০০ থেকে ১০০০ গ্রাম ওজনের ১০০ ইলিশ ৭০ হাজার টাকায় এবং ১০০০ থেকে ২০০০ গ্রাম ওজনের ১০০ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায়। শহরের খুচরা বাজারে প্রতিটি ইলিশে ৫০ থেকে ২০০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করা হচ্ছে।
দুপুরে ফিশারি ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় দুটি ট্রাক। প্রতিটি ট্রাকে ইলিশ বোঝাই করা হয় আট মেট্রিক টন করে। ইলিশের মালিক স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ট্রাকবোঝাই ইলিশ যাচ্ছে ঢাকার আবদুল্লাহপুর ও যাত্রাবাড়ীতে। সেখানে প্রতি কেজি ইলিশে ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ করা হবে। সমিতির উপদেষ্টা ও ইলিশ ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে সাগর থেকে এক হাজারের বেশি ট্রলার ফিরে আসবে। তখন ইলিশে সয়লাব হবে বাজার। এ সময় বিপুল পরিমাণ ইলিশ ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়াও রাজশাহী, সিলেট, বগুড়া, ফরিদপুরে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, গত বছর কক্সবাজার উপকূল থেকে ইলিশ আহরণ করা হয়েছিল ৩৯ হাজার ৩১৪ মেট্রিক টন। এবার ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন।
এসএম
এ বিভাগের আরো
Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.
উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ
কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল