মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক ও আলোচিত ঘটনা এক বৃদ্ধাকে পায়ুপথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা। ঘটনার সাথে জড়িত দুইজন আসামী জেল হাজতে এবং কয়েকজন জামিনে এসেছেন বলে দাবী করছেন অভিযুক্তরা এবং কয়েজন পলাতক রয়েছে। গণমাধ্যমের বরাতে ঘটনাটি দেশ ব্যাপি আলোচিত হয়।
সঠিক তদন্ত করতে ( ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টার দিকে অপরাধ দমনে মানবাধিকার সংস্থা (স্কফ) এর একদল তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা থেকে নোয়াখালী সুবর্ণচরে এসেছে ঘটনার স্থান পরিদর্শন করেন। এসময় ভুক্তভোগী নাসির ভান্ডারীর বাড়িতে তার বয়ান শুনেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্কফ এর প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন মাসুদ, মোঃ আবদুল্লাহ আল নয়ন জানান ঘটনা সত্যতা পয়েছেন, তারা তাদের অবস্থান থেকে আইনি সহযোগিতা করবেন এবং দুই একদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
উল্লেখ্য, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শুক্রবার পহেলা জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের থানারহাট সংলগ্ন আমানতগঞ্জে শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারী নামে এক বৃদ্ধ নির্যাতনের শিকার হন। ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি, চরওয়াপদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান ভূঞার ইন্দ্বনে ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহনাজ ও তার লোকজন ওই বৃদ্ধের পায়ু পথে টর্চলাইট ঢুকিয়ে তাকে পাশবিক নির্যাতন করে। একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
শুক্রবার রাতে ঘটনার পর শনিবার বৃদ্ধ নাছির উদ্দিনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে রোববার সকালে হাসপাতালের জেনারেল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান মানিকের নেতৃত্বে বৃদ্ধের শরীরে অস্ত্রপাচার করে টর্চলাইটি বের করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতাল থেকে তিনি নিজ বাড়ীতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এঘনায় মামলা করা হলে মূল হোতা শাহনেওয়াজ ও আব্দুল গণিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় চরজব্বর থানা পুলিশ।
সময় জার্নাল/এলআর