সময় জার্নাল ডেস্ক : কারো মা মারা যাচ্ছে, কারো বাবা, কারো ভাই, কারো বোন। কেউ আবার হতাশ হয়ে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছে, কেউ কেউ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে কিংবা টিকে থাকার শেষ কায়দা হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে, পরিবার নিয়ে এ হসপিটাল থেকে ওই হসপিটাল...
ঠিক সে সময় আমাদের তারুণ্য, ফেসবুক বুদ্ধিজীবী ও ছাত্র শিক্ষক সমাজ মেতে আছে হাসি তামাশার লকডাউন, কারো বিয়ে, কারো কাবিননামা, কারো ধর্মীয় রাজনীতির রুম নাম্বার নিয়ে!
এরা কেউ মরবে না, এরা ব্যস্ত অহেতুক আলাপে।এদের মরারও সময় নেই। সামাজিক দায় ও দায়িত্ব নেই। বরং দেশ ছেড়ে কখনো বিদেশ, এইভাবে আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আহহা রে মানুষ, আহহা রে দেশ... সব হারিয়ে সিটিগোল্ড বাংলাদেশ!!
খ.
রাষ্ট্র যখন বহুমাত্রিক সংকটে জর্জরিত। কোটি কোটি মানুষ যখন খাদ্য চিকিৎসা শিক্ষা, বাঁচার হাহাকারে, তখন আমরা উদাসীন হাওয়া গায়ে লাগিয়ে বেড়াচ্ছি... মজা মাস্তি করে সময় কাটাচ্ছি!
কারো বেদনা কাউকে ভাবায় না, পোড়ায় না!
এইভাবে দেশের প্রায় সব ক্ষেত্রে চরম এক নৈরাজ্য পরিস্থিতির বিরাজমান চেহারা। যে চেহারার ছায়া সরাসরি প্রভাব পড়ছে তরুণদের ওপর। তারা বুঝতেছে না, অনুভাব ত অনেক দূর। শিক্ষার আলো নেই! স্কুল কলেজ বন্ধ। পরিকল্পনা নাই কারো। ঘরে বাহিরে হতাশার দোকান। ফলে হতাশ তরুণরা মিশে যাচ্ছে বিভিন্ন অসামাজিক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আবার কখনো সাধারণ চিন্তা ও কাজ থেকে হয়ে পড়ছে নিষ্ক্রিয়। আকামে ভাইরাল হবার ধান্ধায় ঘুর ঘুর করে তারুণ্য!
এইভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। দেশে তরুণদের বিশেষত শিক্ষিত তরুণদের এক বৃহদাংশ বেকার জীবন যাপন করছে এবং সেটা বেড়েই চলছে।
আলাপে যোগ হয়েছে মহামারি। এমনি নাচুনি বুড়ি তার উপর ঢোলের বাড়ির অবস্থা।
অথচ সব দেশে যে কোন সংকট, সম্ভাবনাকে উস্কে দেয়। আমরা দেয়াল টপকে ভাবতে পারি না। ভাবতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা ইন্সটিটিউট কিংবা গণ মাধ্যম। শুয়রের বাচ্চার দখলে আমাদের আশার ঘর।
প্লিজ দেশ আমার দায়িত্ব আমার। যার যা কাজ।তাই করুন। কেউ কারো না, কেউ আজীবন টিকে থাকে না। সুখে থাকতে নিজের দিকে মনোযোগ দিন।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক: কবি ও গবেষক
সময় জার্নাল/আরইউ