নিজস্ব প্রতিনিধি: কারও কাছে ভিক্ষা, করুণা বা দান চাই না। আমরা আমাদের কষ্টের টাকা ফেরত চাই। পাওনা টাকা ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের গ্রাহকরা।
আমরা আর কারও মিথ্যা আশ্বাসে বিশ্বাসী নই। অনতিবিলম্বে গ্রাহকের বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন গ্রাহকরা। অন্যথায় পাওনা টাকা আদায়ে তারা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এ দাবি জানান। আলেশা মার্ট কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশন, আলেশা মার্ট বিক্ষোভ ও আন্দোলনের গ্রুপ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
গ্রাহকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি টাকা দেওয়ার নাম করে বারবার সময় নিয়েছেন, যাতে করে গ্রাহকদের চেকের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান খুবই সুনিপুণভাবে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের কষ্টের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করছেন দাবি করে মামুন বলেন, তিনি এক বছর সময় পেয়েও গ্রাহকদের মিথ্যা আশ্বাস ছাড়া কিছুই দিতে পারেননি। এছাড়াও গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিষ্ক্রিয়তাও দায়ী বলে মনে করেন তিনি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, অনতিবিলম্বে আমরা আমাদের মূল টাকা ফেরত চাই। এছাড়াও আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমন নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় তারা যদি বিদেশ পালিয়ে যান সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের সব দায়-দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মহলকে নিতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব মেয়াদোত্তীর্ণ চেক রিপ্লেস করতে হবে। বন্ধ কল সেন্টার চালু করে গ্রাহকদের সেবার মান নিশ্চিত করতে হবে।
গ্রাহকদের বর্তমান করুণ অবস্থা বিবেচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মহলকে নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। ওই কমিটি চাপ প্রয়োগ করে আলেশা মার্টের গ্রাহকের টাকা পরিশোধে ব্যবস্থা নেবে। এতে কাজ না হলে কমিটি আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে গ্রাহকদের দেনা পরিশোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আলেশা মার্টের ভুক্তভোগী বেশ কিছু গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।
সময় জার্নাল/এলআর