মনীষা রুপেতা, যিনি পাকিস্তানে একজন হিন্দু নারী হয়ে প্রথমবারের মতো ডিএসপি (সহকারী পুলিশ সুপার) হয়েছেন। সিন্ধু পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষায় সফল হয়ে ডিএসপি পদে নিজের কাজ শুরু করেছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, মনীষা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের জাকুবাবাদের বাসিন্দা। যেটি খুবই পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে বিবেচিত হয়। যদিও, মনীষা তার কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন।
১৩ বছর বয়সে বাবা মারা যান : বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে, মনীষা তার প্রাথমিক শিক্ষা জাকুবাবাদ থেকেই সম্পন্ন করেছেন। যদিও, তিনি মাত্র ১৩ বছর বয়সেই তার বাবাকে হারান। যার ফলে একদম ছোট থেকেই তাকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছিল। এমতাবস্থায়, তিনি সাহস না হারিয়ে তার লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন।
জানা যায়, বাবার মৃত্যুর পর মনীষার মা তাকে করাচিতে নিয়ে চলে আসেন। যেহেতু, জাকুবাবাদে শিক্ষার মান খুব একটা ভালো ছিল না তাই পড়াশোনার সুযোগ-সুবিধা করাচিতে বেশি থাকায় তার মা এহেন সিদ্ধান্ত নেন। এরপর, স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে মনীষা ডাক্তারি পড়তে গেলেও তিনি চাইছিলেন পুলিশ হতে।
এমনকি, একটা সময়ে পুলিশে চাকরি করা তার স্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়। এমতাবস্থায়, মনীষার পরিবার তার ইচ্ছেতে ঠিকমতো সায় দিচ্ছিল না। যদিও, শেষ পর্যন্ত মনীষা পুলিশ অফিসার হওয়ার সিদ্ধান্তই নেন। পাশাপাশি, তার পরিবারের সদস্যরাও এই সিদ্ধান্তকে পরে সমর্থন করেন। আর তারপরেই পরীক্ষায় পাশ করে মনীষা তার স্বপ্ন পূরণ করেন।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রথম হিন্দু নারী ডিএসপি হিসেবে কাজ শুরু করার পর মনীষার পাশাপাশি খুশি হয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরাও।
সময় জার্নাল/এলআর