সময় জার্নাল প্রতিবেদক:
দেশে এক লাফে লিটারে ডিজেল ৩৪ টাকা, পেট্রল ৪৪ টাকা ও অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এক লাফে জ্বালানির ৪২-৫২ শতাংশ দাম বৃদ্ধি অর্থনৈতিক ভাবে শুদ্ধ নয় বলে মনে করেন ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনোমিক রিসার্চ (এন.বি.ই.আর) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ।
তিনি বলেছেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিকস ক্রাইসিস এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাপনার জন্যই জ্বালানীর এই মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। কিন্তু একলাফে এত দাম বৃদ্ধি অর্থনৈতিকভাবে শুদ্ধ নয়, যাদের অর্থনৈতিক জ্ঞান আছে তারা এটা করতো না। যেটা অভ্যন্তরীণ আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থা, পরিবহন ব্যবস্থা এবং মার্কেটিংকে ভারসাম্যহীন করে তুলবে।
শুক্রবার রাতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ডিজেলের দাম হবে ১১৪ টাকা লিটার, যা এত দিন ৮০ টাকা ছিল। এ ক্ষেত্রে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৪ টাকা। কেরোসিনের দামও একই হারে বাড়ানো হয়েছে। নতুন দর ডিজেলের সমান১১৪ টাকা লিটার। বাড়ানো হয়েছে পেট্রল ও অকটেনের দামও। পেট্রলের নতুন দাম ১৩০ টাকা, যা এত দিন ৮৬ টাকা ছিল। এ ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে লিটারে ৪৪ টাকা। অকটেনের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটারে ৪৬ টাকা। এত দিন অকটেন ৮৯ টাকা লিটার বিক্রি হতো। এখন তা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে।
প্রফেসর আহসানুল আলম পারভেজ বলেন, মূল্য বৃদ্ধি এটা কন্ট্রোল করার মত সৃজনশীল বা ইকোনোমিক ব্যবস্থা নেয়া এই মুহূর্তে সরকারের সেই সক্ষমতা নেই, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুনয় বিনিয় করছি যেন অতি জরুরি একটা সৃজনশীল অর্থনৈতিক টিম করা হয় যেন অভ্যন্তরীণ নিত্য পণ্যর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
জ্বালানীর এই মূল্য বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির ওপর কি প্রভাব ফেলবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মূল্য বৃদ্ধির ফলে গণপরিবহনে ও পণ্য পরিবহণ খরচ, কৃষি খরচ বৃদ্ধি পাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর দাম মানুষের ধরাছোঁয়ার বাহিরে চলে যাবে। এর ফলে আমাদের অভ্যন্তরীণ যে উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করি তা একেবারে এলোমেলো হয়ে যাবে, ভারসাম্যহীন হয়ে যাবে।
আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা অনেক দুর্বল উল্লেখ করে অধ্যাপক পারভেজ বলেন, আমাদের এখন সৃজনশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রয়োজন।
সময় জার্নাল/এমআই