ডঃ আব্দুন নূর তুষার:
বিদেশে পড়ার জন্য বাংলাদেশ গত পাঁচবছরে প্রায় ১.৩২ বিলিয়ন ডলার প্রপার চ্যানেলে দিয়েছে। আসল খরচ কিন্তু এর প্রায় চার থেকে ছয় গুন। অন্তত সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন থেকে আট বিলিয়ন। এই ছেলেমেয়েরা অধিকাংশই দেশে ফেরে না। কারণ এদের কাজের ব্যবস্থা দেশে নাই।
এরা বিদেশে যে ধরনের চাকরি করে ও যেভাবে বসবাস করতে হয় তাতে খুব বেশি রেমিট্যান্সও পাঠাতে পারে না। এরা তো শ্রমিকদের মতো কম্যুনিটি লিভিং করবে না। সেটাই স্বাভাবিক।
অধিকাংশই বিদেশে থেকে যায় ; বিয়ে করে সংসার শুরু করে, বাবা মা ভাই বোনকে নিয়ে যায়। তারাও দেশের ওপর চাপ কমায়। দীর্ঘমেয়াদে।
অথচ এই দেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খুলতে দিলে অন্তত পড়াশোনার সময় টিচারের বেতন; থাকা খাওয়ার খরচ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় এখানেই থেকে যেতো।
উল্টো নেপাল ভুটান শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তান থেকে আরো বেশি ছাত্রছাত্রীদের আমরা পেতাম। শুধু তাই না। অনেক বিদেশে পড়া বাংলাদেশের নাগরিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে কাজ করতো।
নিজের পাল্লু লোকজনকে ইউরোপিয়ান কানাডিয়ান আমেরিকান জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে সুবিধা দেয়ার জন্য এখানে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খুলতে না দেয়া একটা অথর্ব সিদ্ধান্ত।
মালয়েশিয়া দুবাই সিংগাপুর এভাবে বহু মুদ্রা বাঁচায়। আর আমরা পারি না।
সময় জার্নাল/এলআর