মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হক। গতকাল বিকেলে চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ
উপজেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন
অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাজমুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলীয় অফিস ভাংচুরের মিথ্যা তথ্য দিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি স্কুল জীবনে চৌদ্দগ্রাম পাইলট হাইস্কুল শাখা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্বের মাধ্যমে ছাত্ররাজনীতিতে প্রবেশ করি। পরবর্তীতে চৌদ্দগ্রাম সরকারী কলেজের সভাপতি, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত উপজেলা যুবদলের সভাপতি এম. জাকারিয়া এবং আমি অক্লান্ত পরিশ্রম করে চৌদ্দগ্রামে যুবদলকে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলেছি। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে উপজেলা যুবদল। তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সকল আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের অংশগ্রহণের ছবি এবং নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের কার্যক্রম দেখে আ’লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দেয়া উপজেলা বিএনপি’র বর্তমান সভাপতি নির্দেশে একটি কু-চক্রী মহল আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ১৭ আগষ্ট রাতে আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী পক্ষের কিছু নেতাকর্মী উপজেলা বিএনপি’র ব্যানারে দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেজা জিয়ার জন্মদিন অনুষ্ঠান পালনের নামে একটি প্রোগ্রাম করে। তাদের মিটিং শেষে পরদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমি উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হকের নেতৃত্বে নাকি বিএনপি অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন মিথ্যা খবর দেখে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। কামরুল হুদার পক্ষের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দলীয় অফিস ভাংচুর হলো অথচ কেউ আমার একটি ছবি কিংবা ভিডিও নিতে পারলো না। কোন ধরনের প্রমাণ ব্যতিত আমার বিরুদ্ধে অফিস ভাংচুরের অপপ্রচার আগামী সরকার বিরোধী আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য একটি বড় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মনে করে নেতাকর্মীরা। পরদিন বৃহস্পতিবার কোন ধরনের প্রমাণ ব্যতিত সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে শুধুমাত্র কামরুল হুদার বক্তব্যকে রেফারেন্স উল্লেখ করে আমার বিরুদ্ধে অফিস ভাংচুরের নিউজ কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চৌদ্দগ্রাম পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক কাজী জসিম উদ্দীন, বিএনপি নেতা কাজী
রাকিবুল আহসান মহব্বত, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক প্রচার সম্পাদক খন্দকার মীর হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেকদলের সহ-
সভাপতি গাজী কবির, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল কাইয়ুম, জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ছুট্টু, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ সবুজ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব ইছহাক ব্যাপারী, চিওড়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আনোয়ার হোসেন পিন্টু, বিএনপি নেতা আবদুর রাজ্জাক, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী জোবায়েরুল হক, উপজেলা যুবদল নেতা হেলাল মোল্লা, বিএনপি নেতা আবদুল মতিন পাটোয়ারী, সাবেক কমিশনার মো. হানিফ, প্রবাসী ফোরাম নেতা মোঃ সুমন, মোঃ সোহেল, পৌর যুবদলের সহ-সভাপতি শাহ জাহান, যুবদল নেতা মোঃ সোহাগ, ইউনুছ, সাবেক ছাত্রনেতা মোহন প্রমুখ।
এমআই