গজারিয়া প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় স্ত্রী কর্তৃক শাশুড়িকে নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ সহ প্রবাসী স্বামীর অর্জিত সকল টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাতের অপরাধে স্বামী বাদী হয়ে প্রতারক স্ত্রী ও শশুর পরিবারের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলার উত্তর ফুলদি গ্রামে আব্দুল হামিদের ছেলে প্রবাসী মোস্তফা মিয়ার বাড়িতে ১০ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটে ।অভিযোগের বাদী মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়া নিজ স্ত্রী নুরবানু ,শাশুড়ি জবেদা খাতুন, শশুর আলাউদ্দিন এবং অপরাপর সদস্যদের নামে ২৭ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাতের অপরাধে গজারিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন প্রবাসে থাকা দীর্ঘ ১৪ বছরের কষ্টার্জিত ২৭ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন, অভিযুক্ত স্ত্রী ও শাশুড়ির একাউন্টে। সংসার খরচ বাবদ আলাদা টাকা পাঠিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার পাঠিয়েছেন।
প্রবাসে থাকা কালিন পাঠানো সমস্ত অর্থ ও স্বর্ণালংকার দিয়ে স্ত্রী নুরবানু ও শাশুড়ি জবেদা খাতুন শ্বশুরবাড়িতে নুরবানুর নামে সম্পদ গড়ে তোলেন। মোস্তফা মিয়া গজারিয়া উপজেলার উত্তর পল্লী গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। বাদী আরও জানান তার স্ত্রী নিজবাড়ী উত্তর ফুলদি গ্রামে মা সাহেরা বেগমের ভবনে থাকেন প্রায় চার বছর যাবত।
স্ত্রী নুরবানুর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের মা সাহেরা বেগম ও ছোট ভাই ডালিমসহ প্রায় এক বছর আগে বাড়ি ছেড়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। মা সাহেরা বেগম ১০ এপ্রিল নিজবাড়ী উত্তর ফুলদি গ্রামে আসেন। স্ত্রীর অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় মা সাহারা বেগম কে মারধর করেছে নুরবানু। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত সাহেরা বেগম জানান ছেলে প্রবাসে থেকে পাঠানো সকল নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার ফেরত চাওয়ায় তাকে মারধোর শেষে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
উত্তর পল্লী গ্রামের বাদী মোস্তফা মিয়ার বাড়ির আশপাশে থাকা শেফালী বেগম, জ্যোৎস্না ,মসজিদের মোয়াজ্জেম আনছোব আলী প্রধান জানান মোস্তফা মিয়ার স্ত্রী নুরবানু তর শাশুড়ি সাহেরা বেগম কে প্রায়ই মারধোর ও নির্যাতন করেছে। মোস্তফার পাঠানোর সকল অর্থ অলংকারে তার স্ত্রী নিজ নামে বাপের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলা, শ্ম্ভুপুর থানা, চর কিশোরগঞ্জ এলাকায় বাড়ি ও সম্পত্তি ঘরে তুলেছে।
অভিযুক্ত নুরবানু কে মোবাইল করলে ছেলে নাহিদ জানান মারধোরের বিষয়টি মিথ্যে। দুই বছর আগে বাড়ি থেকে তাদেরকে বের করে দেয়ার জন্য চাচা ডালিম সহ কয়েকজন তার মা ও দুই ভাই কে মারধর করেছে। এই ঘটনায় মা বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন তখন থেকে চাচা এবং দাদি বাড়ি থাকেন না। নানার বাড়ি চর কিশোরগঞ্জ মায়ের নামে বাড়ি ও সম্পত্তি নানার অর্জিত টাকা দিয়ে করা হয়েছে।
গজারিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দিন জানান থানায় অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে ।
সময় জার্নাল/এমআই