মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর চাটখিলে এক ব্যবসায়ী ও সেনবাগ উপজেলা থেকে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হচ্ছেন, চাটখিল উপজেলার হীরাপুর গ্রামের মিদ্দা বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে মহসিন হোসেন ওরফে কালা মিয়া (৩৬)। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। অপর ব্যক্তি সেনবাগ উপজেলার রাজারামপুর গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মো.মহিন উদ্দিন (৭৫)।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালের দিকে পৃথক স্থান থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে দুইজনের মৃত্যুই রহস্যজনক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চাটখিল উপজেলার ফার্নিচার দোকানদার মহসিন গতকাল সন্ধ্যায় তার ফার্নিচার দোকান থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে চাটখিল উপজেলার ৪ নং বদলকোট ইউনিয়নের রেজ্জাকপুর সাতবাড়িয়া সড়কের পাশে মহসিনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সকাল ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ব্যবসায়ী মহসিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে সামান্য আঘাতের চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কে বা কাহারা তাকে হত্যা করে এখানে লাশ ফেলে যায়।
পরিদর্শক তদন্ত আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের সেবারহাট পশ্চিম বাজার সংলগ্ন মজু মিয়ার বাড়ির সামনের পুকুর থেকে বৃদ্ধ মো. মহিন উদ্দিনের ভাসমান মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি আরও জানায়, বৃদ্ধ মহসিন ভারসাম্যহীন এবং মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে তিনি পানিতে পড়ে ডুবে মারা যান। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
এমআই