সময় জার্নাল প্রতিবেদক:
জ্বালানি তেল তথা ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৫ টাকা কমিয়েছে সরকার। ২৯ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকার বদলে বিক্রি হবে ১০৯ টাকায়। পেট্রল ১৩০ টাকার বদলে ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকার বদলে ১৩০ টাকায় বিক্রি হবে।
এর আগে ৬ আগস্ট থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ এবং পেট্রল ও অকটেনে ৪৬ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। জ্বালানি তেলের এই বৃদ্ধির ফলে পরিবহণের ভাড়া বেড়েছিলো যার প্রভাব পড়েছিলো নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যর মূল্য। খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দামও বাড়ার ফলে নাকাল হয়ে পড়েছিলো জনজীবন। এমন সময়ে দাম বাড়ানোর ২৩ দিনের মাথায় জ্বালানি তেলের দাম সরকারের পক্ষ থেকে লিটারে ৫টাকা জ্বালানির দাম কমানো হয়েছে।
তবে লিটারে ৩৪ টাকা বৃদ্ধির পর মাত্র ৫টাকা কমানো জনজীবনে কতাটা সুফল আসবে এতে? ডিজেলের যে পরিমাণ দাম কমানো হয়েছে, তাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যর বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনোমিক রিসার্চ (এন.বি.ই.আর) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ বলেন, ৪২-৫২% জ্বালানির দাম বাড়ানোর পড়ে বিভিন্ন পণ্যর দাম বেড়ে গেছে। সেই জায়গায় দাম ৫ টাকা কমানো সরকারের একটা চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে। কিন্তু এটা নিত্য পণ্যর বাজারে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না। সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে না। বরং অকটেনের দাম কমায় বড়লোক যাদের গাড়ি আছে তাদের উপকার হবে।
অধ্যাপক পারভেজ বলেন, জনগণের সুবিধার জন্য সরকারের উচিৎ অন্তত ৪-৫% পরিবহণ খরচ কমানো। আর তার জন্য পরিবহণ মালিক সমিতির সাথে বসে পরিবহণ খরচ কমানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান তিনি।
সময় জার্নাল/এমআই