ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের সিংড়ার চলনবিলের দূর্গম শান্তানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জাল দিয়ে বক শিকারের সময় ২ পাখি শিকারীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি বক পাখি ও প্রায় ২০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
এর আগে পাখি শিকারের সময় ওই শিকারীদের হাতে নাতে আটক করে পরিবেশ কর্মিরা। দন্ডে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক আল ইমরান।
শুক্রবার ভোরে খবর পেয়ে চলনবিল জীব বৈচিত্র রক্ষা কমিটির সদস্যরা কাঁদাপানি পেড়িয়ে শিকারীদের আটক করে পাখিুগলো উদ্ধার করে। পরে সকালে সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরান সেখানে হাজির হয়ে একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। আর অপরজনকে বয়স বিবেচনা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-উপজেলার হরিণা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাহ আলম (৩০) ও কলম সূর্যপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে নাইম হোসেন (১৬)।
অভিযানে অংশ নেন পরিবেশবাদী সংগঠন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হাসান ইমাম, কলম প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিবেশ কর্মী আব্দুর রশিদ, হাসিবুল হাসান শিমুল প্রমূখ।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, বিল ডেকে নিয়ে কারেন্টজাল দিয়ে পাখি নিধন করা হচ্ছে এলাকাবাসীর এমন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার কাঁকডাকা ভোরে প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁদাপানি মাড়িয়ে চলনবিলের শান্তানগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ পাখি শিকারিকে আটক করা হয়। এ সময় জব্দ করা হয় পাখি শিকারের কারেন্ট জালের ফাঁদ ও ৫টি বকপাখি। পরে কলম নগরপাড়া মোড়ে জনসম্মুখে ফাঁদ ধ্বংস ও উদ্ধারকৃত পাখি অবমুক্ত করা হয়। আর আটককৃতদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
সময় জার্নাল/এলআর