এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার পেতে কৃষকে হতে হচ্ছে হয়রানি। ইউনিয়নে ডিলারদের প্রায় অধিকাংশ দোকান থাকছে বন্ধ। অতিরিক্ত মূল্যে সার কিনতে হচ্ছে খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে। প্রয়োজনীয় সাব-ডিলার না থাকায় সিমান্তবর্তী ইন্দুরকানি উপজেলা থেকে সার কিনে আনতে হচ্ছে এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ কৃষকদের। স্থানীয়দের দাবি সাব ডিলার নিয়োগের।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সরকারিভাবে বি,সি,আই,সি ১৭ জন সার ডিলার ও সাব ডিলার ১৫৩ জনের স্থলে রয়েছে ৯৮ জন মাত্র। প্রয়োজনের তুলনায় সাব ডিলার না থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে খরচ বহন করে সার কিনতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ইন্দুরকানি উপজেলা থেকেও অতিরিক্ত মূল্যে খুচরা ক্রয় করতে হচ্ছে সার।
মঙ্গলবার তেলিগাতি ইউনিয়নের মের্সাস আরাফাত এন্টারপ্রাইজ ডিলার মো. আবুল বাশার সারগুদামে দুপুর ১টায় গিয়ে দেখা গেছে তালাবদ্ধ। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ রয়েছে মাঝের মধ্যে খুলে। গতকাল এসে দোকান খোলা পায়নি কৃষক। একই দিনের চিত্র ভাটখালী বাজারে মেসার্স মদিনা এন্টারপ্রাইজ আবুল বাশার একই নামে এক ব্যক্তি চালাচ্ছে দুটি ডিলারী। দোকানের সামনে টাঙ্গানো নেই কোন সাইনবোর্ড। তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা বললেন সকালে প্রায় ২ ঘন্টা খোলা ছিলো। মাঝে মাঝে সারের দোকানটি খুলতে দেখা যায় । আবার গ্রামের কৃষকেরা মোবাইল ফোনে ডেকে এনে সার নিতে হয়।
এদিকে চিংড়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব চন্ডিপুর ও চন্ডিপুর গ্রামে ৮ কিলোমিটার দূরাত্ব নারিকেল বাড়িয়া বাজারে ডিলারের কাজ থেকে সার ক্রয় করতে হচ্ছে কৃষকের। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় সিমান্তবর্তী ইন্দুরকানি উপজেলা থেকে অতিরিক্ত মূল্যে সার কিনে আনতে হচ্ছে দুই গ্রামের কৃষকদের। স্থানীয়দের দাবি এলাকা ভিত্তিক সাব ডিলার নিয়োগের। ইউনিয়নের ঘোপের বাজারে খুচরা ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরহোগলাবুনিয়া, চৌকিদার বাজারে সার ক্রয়ে একই অবস্থা বিরাজ করছে কৃষকদের। সার ক্রয় করতে হচ্ছে ঘোসের হাট বাজার থেকে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আকাশ বৈরাগী বলেন, সারের ডিলারদের নিয়ে মঙ্গলবার মিটিং করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত ডিলারদের দোকান খুলে রাখা এবং সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত মূল্যে তালিকা টানিয়ে রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এ সর্ম্পকে উপজেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বি,সি,আই,সি সার ডিলারদের নিয়ে জরুরী বৈঠক করা হয়েছে। সার পেতে কোন প্রকার কৃষকের হয়রানি হতে হবে না। সেপ্টেম্বর মাসে সাব-ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
সময় জার্নাল/এলআর