বুধবার, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধি: নানা উদ্যোগের পরেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমছে না। ডলার সংকটের কারণে প্রতিদিনই রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোকে বৈদেশিক মুদ্রার (ডলার) জোগান দেওয়া হচ্ছে। গত এক বছরে সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমেছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্টের আমদানির জন্য এক দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। একইদিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ৫০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবমিলিয়ে বুধবার মধ্যরাত থেকে রিজার্ভের পরিমাণ হতে যাচ্ছে ৩৭ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুত এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে সাড়ে ৪ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
তবে রিজার্ভ কমলেও এটাকে স্বাভাবিকই বলছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তাদের মতে, কোনো দেশে ৩ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকা স্বস্তিদায়ক। সে হিসাবে আমাদের প্রায় ৫ মাসের রিজার্ভ আছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, দুই মাস পরপর আকুর সদস্যভুক্ত ৯টি দেশের (ভুটান, ভারত, ইরান, নেপাল, মিয়ানমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ) আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়। বুধবার (৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করায় সাধারণত মধ্যরাতের পরেই বিলের অর্থ কেটে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক পরদিন সেটা রিজার্ভ থেকে বাদ দেয়। ফলে আজ মধ্যরাতেই বিল পরিশোধের অর্থ কেটে নেওয়া হবে। এরপর আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ওই পরিমাণ অর্থ বাদ দেবে।
এদিকে, সরকারি প্রকল্প ও নিত্যপণ্যের আমদানি বিল পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো কাছে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ থেকে ৯৫ টাকা দরে ৫০ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভের পরিমাণ নেমে আসে ৩৮ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে। সেখান থেকে এক দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের আকু পেমেন্টের জন্য বিল পরিশোধ করা হয়। সে হিসাবে বুধবার মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ২০ বিলিয়ন হতে যাচ্ছে।
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ২০২১ সালে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। গত অর্থবছরের শেষের দিকে রিজার্ভ নেমে আসে ৪২ বিলিয়ন ডলারে। এরপর গত ২০ জুলাই পর্যন্ত রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে। জুলাই শেষে তা কমে ৩৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।
সময় জার্নাল/এলআর