আজাহারুল ইসলাম, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম ঊর্মির সহপাঠীরা বলেন, ‘ভালোবেসে ও বিশ্বাস করে যার সাথে ঘর বেঁধেছে সেই আজ তার ঘাতক। ঊর্মি কি কখনো ভেবেছে নিজের স্বামীই তাকে হত্যা করবে? এটা তো হঅওয়ার কথা ছিল না। ঊর্মি কাউকে কিছু না জানিয়ে মুখ বুজে সব সহ্য করেছে। কাউকে বিষয়গুলো জানালে হয়তো এই পরিস্থিতি হতো না। ঊর্মির মত যেন আর কাউকে মরতে না হয়।’
শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে ক্যাম্পাসের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের আয়োজিত মানববন্ধনে ঊর্মির মৃত্যুকে পরিকল্পিত হতাকাণ্ড দাবি করে ঘাতক স্বামীর আসিকুজ্জামান প্রিন্সের সর্বোচ্চ শান্তির দাবি জানানো হয়। এসময় বিভাগের বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী চৌধুরী, প্রভাষক মৌসুমী আক্তার মৌ, ড. মো. এরশাদুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী চৌধুরী বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার হোক। আমরা জানতে পারছি ওই শিক্ষার্থীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় পরিকল্পিত হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মেহেরপুরের গাংনীতে শ্বশুরবাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম উর্মিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে পরিবার অভিযোগ করে। এ ঘটনায় ঊর্মির পরিবার বাদী হয়ে গাংনী থানায় হত্যা মামলা করেছে। পরে শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অভিযুক্ত স্বামী পিন্স ও তার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। সেদিনই বিকেলে মেহেরপুরের গাংনী বাসস্ট্যান্ডে ঊর্মির মৃত্যুকে হতাকাণ্ড দাবি করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে তার সহপাঠীরা।
এমআই