পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় হানিমুনে এসে স্বামী তার স্ত্রীর সাবেক প্রেমিকের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী স্বামীর অভিযোগ, চার-পাঁচজন ব্যক্তি তাকে মারধর করার পর ফেলে রাখে। তারপর স্ত্রী ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তার দাবি, তাদের মধ্যে স্ত্রীর সাবেক প্রেমিকও ছিলেন।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট ফ্রাই মার্কেট সংলগ্ন সৈকতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিলেও খুঁজে পায়নি তার স্ত্রীকে।
মারধরের স্বীকার ওই পর্যটক বরগুনা জেলার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছিলেন। সম্প্রতি দেশে এসে বিয়ে করেন। পরে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে এসে এমন পরিস্থিতির শিকার হন।
ভুক্তভোগী স্বামী জানান, আমরা সৈকতে ঘোরাঘুরির পরে সন্ধ্যায় রুমে আসি। কিন্তু স্ত্রীর বার বার অনুরোধে আমরা আবারও সৈকতে যাই। গিয়ে সৈকতের জিরো পয়েন্টে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি। পরে সে আমাকে বারবার হাঁটতে অনুরোধ করে।
তিনি বলেন, ইচ্ছে না থাকলেও ফ্রাই মার্কেট পেরিয়ে আমাকে অন্ধকার স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হঠাৎ আমার ওপরে চার-পাঁচ জন আক্রমণ করে। এ সময় নিজে ও স্ত্রীকে রক্ষার জন্য তাকে আঁকড়ে ধরি। কিন্তু স্ত্রী আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। এমনকি কোনো চিৎকার দেয়নি। এরপর যারা আমাকে মেরেছে সে তাদের সঙ্গে পালিয়ে গেছে।
তিনি জানান, স্ত্রী ও তার প্রেমিক উভয়েই বরিশাল হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থী। দুজনের বাড়িই বরগুনাতে।
সৈকতের আচার দোকানিদের প্রত্যক্ষদর্শী খায়রুল নামের একজন জানান, আমি তাদের স্বামী-স্ত্রী দু'জনকে সৈকতে নামতে দেখেছি। কিছুক্ষণ পরেই দেখি এই লোক রক্তাক্ত। তাকে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে ওই ব্যক্তির শ্বশুর মোবাইল ফোনে জানান, আমরা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে এখানে এসেছি। মেয়ে এখন কোথায় আছে তা জানতে পারিনি। তবে জামাইকে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। পারিবারিকভাবে বিষয়টি আমরা দেখবো।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মারধরের শিকার পর্যটককে উদ্ধার করি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে আমাদের কয়েকটি টিম আশেপাশে খোঁজ করলেও তার স্ত্রীকে পাওয়া সম্ভব হয়নি। আহত স্বামীকে পরিবারে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এমআই