ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়া সন্দেহের জেরে স্ত্রী বিউটি খাতুন নামের ৪০ বছরের এক নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আব্দুর বারেক সরকারের বিরুদ্ধে।
গত রাতের মধ্যভাগে নিজ ঘরে স্ত্রীকে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী। ওই দম্পতির মেয়ের সামনেই এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বলে জানান মেয়ে মাহী। উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর স্কুলপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
ঘাতক স্বামী আব্দুল বারেক ওই এলাকার মৃত আব্দুল আজিজ সরকারের ছেলে। সে পেশায় একজন ভটভটি চালক। নিহত বিউটি ওই এলাকার আলতাফ হোসেনের মেয়ে। তাদের সংসারে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। ঘটনার রাতে ঘরে ১২ বছর বয়সী মেয়ে মাহি আক্তার উপস্থিত ছিলো এবং মেয়ের সামনেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায় আব্দুল বারেক।
প্রতিবেশী ও পুলিশ জানায়, একই এলাকার জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রী বিউটি খাতুনের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে প্রায়ই দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হতো।
গতরাতে মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী আব্দুল বারেক ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে স্ত্রী বিউটির গলা কেট হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ সময় মেয়ে মাহি’র চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দেখে বিউটি বেগম রক্তাক্ত মৃতদেহ বিছানায় পড়ে আছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
বারেক বিউটি দম্পতির মেয়ে মাহি জানায়, তার বাবা তার মাকে হাঁসুয়া দিয়ে গলা কেটে মেরে ফেলেছে। ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এই ব্যাপারে বাপের নাম যেনো না বলে তার জন্য মেয়েকে শাসিয়ে যায়।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘাতক স্বামীকে আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
সময় জার্নাল/এলআর