দুলাল বিশ্বাস, জেলা প্রতিনিধি:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কটুক্তি, দূর্নীতি ও প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে অসদাচারণের প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে পিটিআই-এর সুপারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ট্রেইনিং অব মাস্টার ট্রেনার্স ইন ইংলিশ (টিএমটিই)’র প্রশিক্ষণার্থীরা। পরে তারা গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ পিটিআই-এর সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের উপর দাঁড়িয়ে হাতে হাত ধরে প্রশিক্ষণার্থীরা ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এসময় গোপালগঞ্জের পিটিআই-এর সুপারিনটেনডেন্ট কৃষ্ণা রানী বসুর দূর্নীতির প্রতিবাদে ও শান্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরণের লেখা প্লাকার্ড প্রদর্শন করে মানববন্ধনে অংশ নেয় তারা। মানববন্ধন চলাকালে শিক্ষক ট্রেইনিং অব মাস্টার ট্রেইনার(টিএমটিই) প্রশিক্ষণার্থী জেসমিন আক্তার, সমশের সরদারসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তরা বলেন, টিএমইটিই প্রশিক্ষণ চলাকালে পিটিআই সুপরিনটেনডেন্ট কৃষ্ণা রানী বসুর ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কটুক্তি করেন।
এনিয়ে ক্ষমা চাইতে বললে তিনি ৫ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ট্রেনিং ভাতা ও সার্টিফিকেট স্থগিতের জন্য সুপারিশ করেন পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা পাঁচ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের প্রশিক্ষণ ভাতা, সার্টিফিকেট ফিরিয়ে দেওয়াসহ তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। অন্যথায় সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষনা দেবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে পিটিআই সুপারিনটেন্ডেটের সাথে বলা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। তবে এসব বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এনটি