প্রফেসর আহসানুল আলম পারভেজ,
দুই পর্বের একান্ত সাক্ষাৎকারের আজ প্রথম পর্ব
সময় জার্নাল প্রতিবেদক:
পৃথিবী এখন একটা অর্থনৈতিক মন্দার ব্লাক হোলের দিকে যাচ্ছে বা ঢুকে গেছে। এটা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও এবিষয়ে সতর্ক বানী দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০২৩ এর এপ্রিলের দিকে আমাদের দেশে একটা খাদ্যাভাব দেখা দেবে। এই অর্থনৈতিক মন্দায় সারা পৃথিবীতে খাদ্য সাপ্লাই চেইন বাধাগ্রস্থ হবে। অনেক দেশ তার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে খাদ্য জমা করবে। আবার অনেক দেশ খাদ্য রফতানি করবে না। এতে অনেকে প্যানিক বায়িং করবে। আবার অনেকে খাদ্য মজুদ করবে। এসবের কারনেও খাদ্যের অভাব দেখা দেবে।
প্রথম কথা মিতব্যয়:
প্রফেসর আহসানুল আলম পারভেজ বলেন, এই সময় সকলে বলছে মিতব্যয়ী হতে। অর্থনীতিবিদরা বলছে, আঠার মাস এ অবস্থা থাকতে পারে। তাই এসময় কেনাকাটা কিছু কম করতে। যার যা নগদ আছে তা খরচ না করতে বা কেনা কমিয়ে দিতে। তবে এতে ম্যনুফ্যাক্চারিং ইন্ডাসট্রিতে ধস নামতে পারে। অনেক লোক বেকার হয়ে যাবে। অনেক লোক পেশা বদলাতে বাধ্য হবে ।
আদি পেশায় ফেরা:
তিনি বলেন, এবার ফেরাও মোরে। মানুষ আবার কৃষির দিকে চলে আসবে। পৃথিবী কিছুটা কৃষি পণ্য উৎপাদন, কৃষি পণ্যের বিকাশের দিকে ফিরে যাবে। কৃষি পন্য নির্ভর শিল্পের বিকাশ হবে। এতে করে যারা অনেক হাইটেক জিনিস, অনেক বিলাশবহুল, দামি ডিভাইস, দামি ঘড়ি, দামি গাড়ি কেনে সেই দিকে ব্যয় সংকুচিত হবে। এদিকে, বিশ্বের একটি অংশের মানুষ দূর্ভিক্ষের মধ্যে পতিত হবে। হাংগার বাড়বে। কিন্তু আমি মোটা দাগে মনে করি, এই মন্দা বিশ্বে খারাপ এর মতো ভালোও হবে। আমি বলছিনা খারাপের চেয়ে ভালো বেশি হবে। তবে খারাপ প্রভাবের মতো ভালো প্রভাবও থাকবে।
পালাবদল:
প্রফেসর পারভেজ বলেন, আমেরিকার অধিকাংশ সম্পদ ১% লোকের হাতে, বাংলাদেশর অধিকাংশ সম্পদ ৩-৪% লোকের হাতে। এটাই হচ্ছে পৃথিবীর চিত্র। এই একশ বা একহাজার বিলিয়নিয়ার বা ১০০ ট্রিয়নিয়ার এদের হাতেই পৃথিবীর প্রায় সব সম্পদ। এটাই পরিবর্তন হবে। অর্থাৎ নতুন করে পালাবদল হবে। বড় বড় বিলিয়নিয়াররা গবীর হয়ে যাবে। কেউ কেউ সুইসাইড করবে। আবার এর মধ্যে কেউ কেউ বুদ্ধি খাটিয়ে টাকা আয় করবে। এখানে ব্যক্তির কথা বলছি না। আমি জাতির কথা বলছি। যেমন: আমেরিকানরা এই লন্ডভন্ড অর্থনীতি, ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ এসব মাড়িয়ে চলে যাবে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তারা যারা যতটা সম্পদশালী ছিল তার থেকে বেশি বেশি দেখিয়েছে। তারা এই ক্রান্তিকাল ঠেকাতে পারবে না। এই বাড়তি ব্যয়ের জন্য তারা প্রস্তুত ছিল না।
২য় পর্বে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
সময় জার্নাল/এলআর