রুহুল সরকার, রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
রাজীবপুর উপজেলা পরিষদের ভবনের ছাদে বজ্র নিরোধক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যাস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
এর উদ্যোগ এই যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
বজ্র নিরোধক যন্ত্র স্থাপনের ফলে বজ্রপাতের প্রাণহানি কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার অফিস ভবনের ছাদে বজ্র নিরোধক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এর সাহায্যে আশেপাশের ১০০ বর্গ মিটারের মধ্যে কোন বজ্রপাত হলে তা নিয়ন্ত্রণ করবে যন্ত্রটি।
এরকম একটি যন্ত্র অধিক ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় স্থাপন না করে শুধু উপজেলা পরিষদে স্থাপন করায় সমালোচনা করেছে স্থানীয়রা। বজ্রপাত প্রতিরোধে এর আগেও তালবীজ রোপন করেছিলে দুর্যোগ ব্যাস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় । তবে সেই উদ্যোগ কাজে লাগেনি।
ঘনবসতি পূর্ণ এবং গাছপালা যুক্ত একলকায় বজ্রপাতের হার কম। বজ্রপাতে মানুষ মারা যায় মাঠে, বিশেষ করে চাষাবাদের সময়, নদী এবং বিল এলাকায় মাছ ধরতে গিয়ে।কৃষকেরাই সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের শিকার হন।উপজেলার বড় ফসলের মাঠ নৌঘাট সহ আরও বিভিন্ন স্থানে এসব যন্ত্র স্থাপনের পরামর্শ স্থানীয়দের।
বজ্র নিরোধক যন্ত্রটি তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত।প্রথম অংশটি বায়ুমণ্ডলীয় রড বা দণ্ড যা বজ্রবিদ্যুৎ ধরে থাকে। দ্বিতীয় অংশে পরিবহন তার যা বায়ুমণ্ডলীয় রডে বা দন্ডে ধারণকৃত বজ্রবিদ্যুৎ পরিবহন করে । তৃতীয় অংশে ভূমিস্থ রড যা পরিবাহিত বজ্রবিদ্যুৎকে মাটির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে নিউট্রালাইজ করে দেয়।
রাজীবপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, দূর্যোগ ব্যাস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় উদ্যোগে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যায়ে বজ্র নিরোধক যন্ত্রটি স্থাপন করা হয়েছে । এর ফলে বজ্রপাত ঘটলে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এবং জীবনমানের ক্ষয় ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এমআই