আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন৷ তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, নিহতের সংখ্যা একশ ছাড়াতে পারে। প্রাকৃতিক এ দুর্যোগে বিপর্যস্ত লাস তেজেরিয়াস শহরের পরিস্থিতিকে ‘ট্র্যাজেডি' হিসেবে বর্ণনা করছে সরকার৷
ভেনোজুয়েলার বিভিন্ন স্থানেই গত কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে৷ বৃষ্টিতে দেশটির ২৩টির মধ্যে ১১টি রাজ্যই ক্ষতিগ্রস্ত৷ তবে শনিবার রাতে রাজধানী কারাকাস থেকে ৮৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর লাস তেজেরিয়াসের পরিস্থিতির ভয়াবহতা অন্য সব অঞ্চলকে ছাড়িয়ে গেছে৷ সানতোস মিশেলেনা পৌর এলাকার রাজধানী লাস তেজেরিয়াসকে ঘিরে রয়েছে পাহাড়৷ শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে এল প্লাতো নদী৷
প্রবল বর্ষণে একদিকে পাহাড়ে নেমেছে ধস, ধসে ভেঙে পড়া পাহাড়ের অংশ বিশেষ পড়েছে নদীতে, ময়লা-আবর্জনায় ভরা নদী উপচানো পানি ঢুকে পড়েছে শহরে৷ ময়লা পানির তোড়ে ভেসে গেছে শহরের অনেক বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান৷ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা ছবিতে একটি কষাইখানাও ভেসে যেতে দেখা গেছে৷
এক বার্তায় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো জানিয়েছেন, উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণের কাজ পুরোদমে চলছে৷ তাতে অংশ নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে ২০ হাজার কর্মীকে বন্যা দুর্গত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়ছেন তিনি৷ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক বার্তায় মাদুরো জানান, এখন পর্যন্ত ৩৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ৫৬ জন নিখোঁজ। আমরা আশঙ্কা করছি মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় একশ হবে।
ভেনোজুয়েলার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডেলসি রডরিগেজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, লাস তেজেরিয়াস শহরে যা হয়েছে তা এক ট্র্যাজেডি৷ অনেক প্রাণ হারিয়েছি আমরা৷ শনিবার রাতের প্রবল বর্ষণে লাস তেজেরিয়াসের কাছের দুই শহর এল বাইসবল ও লা আগোটাডারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷তবে সেখানে কতজন মারা গেছেন বা কতজন নিখোঁজ হয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি৷
ভেনেজুয়েলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে৷ তাতে শনিবার রাতে তেজেরিয়াসে ভয়াবহ বৃষ্টি শুরুর আগেই অন্তত ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন৷
সময় জার্নাল/এলআর