জেলা প্রতিনিধি:
বাসের পর খুলনার নৌরুটে শুরু হয়েছে ধর্মঘট। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি বা আসেনি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই রুটে প্রতিদিন ১৫টি লঞ্চ চলাচল করে।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দাবি করেছেন, বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করেছেন। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
এর আগে নছিমন-করিমন-ভটভটিসহ সব যান চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে খুলনার ১৮ রুটের অধিকাংশ রুটে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুইদিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। এতে দূর দূরান্তের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। একই সঙ্গে বিএনপির গণসমাবেশের একদিন আগে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন জেলার দলটির নেতাকর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সব পথে গাড়ি বন্ধের ঘোষণা থাকলেও ঢাকা-খুলনার রুটের বাস যশোর ও গোপালগঞ্জ পর্যন্ত যাবে। সাতক্ষীরামুখী যেসব বাস যশোর হয়ে চলে, সেগুলো চলবে। তবে যেগুলো খুলনা হয়ে চলে সেগুলো বন্ধ থাকবে। মূলত খুলনায় কোনো গাড়ি প্রবেশ করবে না এবং খুলনা থেকে বিভিন্ন রুটের গাড়ি ছেড়ে যাবে না এ দুদিন।
সোনাডাঙা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করতে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে জনগণকে জিম্মি করা হয়েছে এমন অভিযোগ সবার মুখে।
এদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, পরিবহন ধর্মঘট ডেকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও নৌপথের সব বাহন বন্ধ করে দিলেও শনিবারের খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে।
বুধবার খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির জরুরি সভায় পরিবহন দুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সমিতির কর্মকর্তা, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও মালিকদের উপস্থিতিতে সভায় বলা হয়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিটিআরসির গাড়িগুলো চলাচল করছে। তাই এসব যান বন্ধের দাবিতে ২১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত দুদিন মালিক সমিতির সব গাড়ি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন।
সময় জার্নাল/এলআর