নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্দামান সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ রোববার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘সিত্রাং’। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান আজ সময়ে জার্নাল কে বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত বলা যায়। এটি ‘সুপার সাইক্লোন’ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে প্রাথমিকভাবে দিক পরিবর্তন করে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যের বরাত দিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান সময় জার্নাল কে বলেন, এখন নিম্নচাপটির গতিপথ উত্তর–পশ্চিম দিকে। গতিপথে যদি পরিবর্তন ঘটে তাহলে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে তা ভারতের ওডিশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এখন পর্যন্ত গতিপথ সেদিকেই। তবে গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যদি উত্তর-পূর্ব দিকে ধাবিত হয়, তবে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানলে দেশের উপকূলের ৭৩০ কিলোমিটার এলাকায় এর প্রভাব থাকবে। কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে গভীর নিম্নচাপটি দ্রুত এগুচ্ছে। এতে এটি কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনটি