জেলা প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার ভোর থেকে কখনো ভারী আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে প্রকৃতিতে অন্ধকার রূপ ধারণ করেছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী ও বরগুনাকে ৭ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গতকাল গভীর রাত থেকে বৃষ্টির সাথে যুক্ত হয়েছে দমকা হাওয়া। এ বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিষখালী তীরের মানুষের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে।
ঘূর্ণিঝড়র প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে রোববার মধ্যে রাত থেকে ভারি বৃষ্টি সাথে হালকা দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া, চম্পাপুর ও ধানখালী ইউনিয়নের প্রায় আট-দশটি গ্রাম। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সিত্রাং মোকাবেলায় সকল সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ উপজেলার ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নিম্নচাপটি উপকূলীয় এ অঞ্চলের পায়রা ও বিষখালীর মাঝখানে বেতাগী উপজেলায় অবস্থান করছে। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিষখালী নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের মানুষদের মধ্যে এ আতঙ্ক আরো বেশি। রাত বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। জনসাধারণের নিরাপদে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র যাওয়া নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রস্তুত রয়েছে শুকনো খাবার।
সময় জার্নাল/এলআর