সময় জার্নাল ডেস্ক:
প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি তাণ্ডবের পর এখন দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। সোমবার মধ্যরাতের পর এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। তবে ইতোমধ্যেই অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, রাজধানীর সড়কে কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি জমেছে। বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১২৫ মিলিমিটার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আরো উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে সোমবার মধ্যরাতে ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টি বৃষ্টি ঝরিয়ে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ আঘাত হানা শুরু করে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকায়ও সারাদিন বৃষ্টি হয়। সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টির সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক যানজট।
গুলশান, বনানী, প্রগতি সরণি, বিমানবন্দর, উত্তরা সড়ক অনেকটা স্থবির। দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট। বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা। এতে বিপাকে পড়েছেন ঘরমুখী মানুষ।
এতে আরো বলা হয়, মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর