প্রযুক্তি ডেস্ক:
মহাকাশ গবেষকরা আরও তিনটি নতুন ‘নিয়ার আর্থ’ গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন। এগুলো সূর্যের আলোর তীব্রতার কারণে এতদিন লুকিয়ে থাকতে পেরেছিল। এরমধ্যে একটি গ্রহাণু গত ৮ বছরের মধ্যে আবিষ্কৃত সবথেকে বড় ‘নিয়ার আর্থ অবজেক্ট’। এই গ্রহাণুগুলো প্লানেট কিলার বা গ্রহ ধ্বংসকারী হতে পারে।
সিএনএন জানিয়েছে, পৃথিবী এবং শুক্র গ্রহের কক্ষপথের মাঝামাঝি এই নতুন তিনটি গ্রহাণুর সন্ধান পাওয়া গেছে। মূলত সূর্যের আলোর তীব্রতার কারণে তাদেরকে চিহ্নিত করা কঠিন ছিল বিজ্ঞানীদের জন্য। এতদিন এই আলোই টেলিস্কোপ অবজার্ভেশন থেকে এই বস্তুগুলোকে রক্ষা করে চলেছিল। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সামান্য সময়ের জন্য এই পর্যবেক্ষণ চালিয়ে নেয়া সম্ভব হয় তাদের জন্য। চিলিতে থাকা ৪ মিটারের টেলিস্কোপ দিয়ে এই গ্রহাণুগুলো আবিষ্কার করে আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল। সোমবারের দ্য অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল জার্নালে এই আবিষ্কারের কথা প্রকাশিত হয়।
এতে বলা হয়, একটি গ্রহাণুর নাম ২০২২, যা প্রায় ১.৫ কিলোমিটার প্রশস্ত। নিকট ভবিষ্যতে এটি পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে বিজ্ঞানীরা এখনও বুঝতে পারছেন না কবে সেটি হতে পারে। গবেষণা দলের সদস্য স্কট এস শেপার্ড বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দু’টি বড় ‘নিয়ার আর্থ’ অবজেক্ট পেয়েছি যা এক কিলোমিটারের থেকে বড়। এই আকৃতির গ্রহাণুদের প্লানেট কিলার বলা হয়ে থাকে।
বিজ্ঞানীরা জানান, এই আকৃতির একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে প্রাণ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ধুলোয় পুরো বিশ্ব ঢেকে যাবে। এতে আসতে আসতে পৃথিবী ঠান্ডা হয়ে আসবে এবং প্রাণ বিলুপ্ত হবে। গত কয়েক মিলিয়ন বছরের মধ্যে এমন ঘটনা দেখেনি বিশ্ব।
এমআই