আজাহারুল ইসলামইবি সংবাদদাতা:
তখন ঘড়িতে রাত সোয়া আটটা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তরঙ্গ, অবসান, ফাহাদ, মামুন সহ অনেকেই। হঠাৎ ফাহাদ সবাইকে বলছিলেন ‘ফুটবল মাঠে চল, খেলা হচ্ছে’। তখন তরঙ্গ ভেবেছিল আইসিসি টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলা মাঠে প্রজেক্টরে দেখাচ্ছে। তাই স্কোর দেখতে মোবাইল হাতে নিয়ে ঢুকে পড়লো ‘ক্রিকবাজ’ এ। সাথে হো হো করে হেসে উঠলো বাকিরাও।
এসময় জিয়া মোড়ে ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। হল/মেস থেকে বের হয়ে শিক্ষার্থীদের গন্তব্য একটাই ‘ফুটবল মাঠ’। এ জাতীয় দলের কোনো খেলা নয়। তবুও বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছিল শিক্ষার্থীদের চোখে-মুখে। উচ্ছ্বাস থাকবেই না কেন? যতদূর জানা গেছে রাতের বেলায় ফুটবল খেলার আয়োজন এটিই প্রথম। খেলাটি ফুটবলপ্রেমীদের মনেও জায়গা করে নিয়েছে। খেলা শুরু হয়েছিল সোমবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে আটটায়। ইবির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে ১-০ গোলের ব্যবধানে পদ্মা দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রূপসা দল।
খেলাকে ঘিরে বিকেল থেকেই চলছিল মাঠের সাজসজ্জ্বা। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে জ¦লে উঠলো বাতি। এ যেন ফুটবল মাঠকে অন্যরকম এক রূপ দিয়েছে। আয়োজকরা জানায়, দুই দিনব্যাপী সেভেন সাইড ফুটবল টুর্নামেন্টে আটটি দল অংশ নেন। প্রতি দলে খেলোয়ার ছিলেন সাতজন করে। এতে সেমিফাইনালে ব্রহ্মপুত্র দলকে হারিয়ে পদ্মা ও গড়াইকে হারিয়ে পদ্মা ফাইনাল নিশ্চিত করে। ফাইনাল খেলায় প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন রূপসা দলের গোলরক্ষক পাপন। এছাড়া টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোল দিয়ে প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন পদ্মা দলের ইমানুল সোহান।
ট্রফি প্রদানকালে সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম জুয়েল, ফুটবল অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মোহাইমিনুল ইসলাম মিশু, সাধারণ সম্পাদক ইমানুল সোহান, ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু হুরাইরা,শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের মোজাম্মেল বলেন, ইবিতে এই প্রথম রাতের বেলা ফুটবল খেলা খেলা অনুষ্ঠিত হলো। সব কিছু ফেলে মাঠে ছুটে এসেছি খেলা দেখতে। নিয়মিত ও আরো বড় পরিসরে এমন আয়োজন হোক এটাই প্রত্যাশা।
ড. আমজাদ হোসেন বলেন, ‘প্রযুক্তির এই যুগে ক্যাম্পাসকে মাদক মুক্ত ও শিক্ষার্থীদের মাঠ মুখী করতে এই আয়োজন বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকুক এই প্রত্যাশা।
সময় জার্নাল/এলআর