স্পোর্টস ডেস্ক:
কদিন আগেই দেশের জন্য অসামান্য গৌরব বয়ে এনেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। প্রথমবারের মত এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে লাল-সবুজের দল। এরপর অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ ফুটবলের মূল পর্বে খেলার লড়াইয়ে ছিল বাংলাদেশ। তবে বাছাইপর্বে আজ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে জিততে পারেনি পিটার বাটলারের দল। লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনের নিও লাও স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোলপোস্ট রক্ষা করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। শেষ পর্যন্ত কোরিয়ার কাছে ম্যাচটি হেরেছে ৬-১ ব্যবধানে।
এই ম্যাচ ড্র করতে পারলে আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের টিকিট কাটবে বাংলাদেশ, এমনটাই ছিল সমীকরণ। প্রথমার্ধে সমতা ধরেও রেখেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধেই বাঁধে গোলমাল। একে একে পাঁচটি গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাটলারের শিষ্যরা। এদিকে বড় ব্যবধানে হারলেও মূল পর্বে খেলার সুযোগ আছে এখনো। তবে অপেক্ষা বাড়ল লাল-সবুজের দলের। ৬ গোল হজম করায় গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে আফিদারা। ফলে সেরা তিনে থেকে শেষ পর্যন্ত মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করতে পারবে কি না তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ পর্যন্ত।
র্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের ব্যবধান ছিল ৮৩ ধাপ, তবে মাঠে সেই ব্যবধান যেন ভুলিয়ে দিলো আফঈদা খন্দকারের দল। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে দেখা যায় লাল-সবুজের মেয়েদের। দ্বিতীয় মিনিটেই সাগরিকার শট ও কোরিয়ান গোলরক্ষকের বুদ্ধিমত্তায় অল্পের জন্য গোল বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। পরের কয়েক মিনিটে দুই উইঙ্গার সিনহা জাহান শিখা ও শান্তি মার্ডির দারুণ আক্রমণে কোরিয়াকে ব্যস্ত রাখে দলটি।
প্রথম ১০ মিনিটেই কোরিয়ার চারটি আক্রমণ সফলভাবে অফসাইডে ফেলে দেয় বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। ১৫ মিনিটে শান্তি মার্ডির বাঁ দিক থেকে দারুণ এক ক্রস থেকে গোল করে বাংলাদেশকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা শ্রীমতি তৃষ্ণা।
তবে ১৮ মিনিটে কোরিয়ার একটি ভালো সুযোগ রক্ষা করলেও, ১৯তম মিনিটে ফরোয়ার্ড লি হায়ুনের গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে প্রতিপক্ষ। ২৩ মিনিটে আবারও দুর্দান্ত সেভ করেন গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী মন্ডল। এরপর শান্তি মার্ডিকে উঠিয়ে বন্যা খাতুনকে মাঠে নামায় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধজুড়েই দুর্দান্ত লড়াই করে আফঈদার দল। আক্রমণ, পাসিং ও খেলায় অনেকটা সময় এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কোরিয়ার একের পর এক কাউন্টার অ্যাটাকও সফলভাবে রুখে দেয় রক্ষণভাগ। বিরতির আগে আরও দুইবার সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলো থেকে গোল আসেনি। তাতে ১-১ সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় উভয় দল।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর রক্ষণ জমাট রাখতে পারেনি বাটলারের শিষ্যরা। বিরতির পর থেকেই গোছানো আক্রমণে এগিয়ে যেতে থাকে কোরিয়ান মেয়েরা। বাংলাদেশের ছন্নছাড়া খেলার সুযোগ নিয়ে কোরিয়ানরা একে একে আরও ৫টি গোল দিলে শেষ পর্যন্ত ৬-১ ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আফিদার দলকে। এদিকে বড় হারের পর বাংলাদেশের গোল ব্যবধান এখন +৫। আসরের প্রথম ম্যাচে লাওসকে ৩-১ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ হারের পর লাল-সবুজের দলের পয়েন্ট এখন ৬।
এমআই