নিজস্ব প্রতিনিধি:
গাইবান্ধ-৫ আসনে উপনির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, আইন ও বিধিতে অনিয়মের শাস্তি যেটা আছে সেটাই হবে। অপরাধের মাত্রা দেখে শাস্তি হবে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) আগারগাওঁ নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের অনিয়ম তদন্তের সর্বশেষ প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আনিছুর রহমান বলেন, পরশু (সোমবার) প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এখনো আমরা দেখিনি। আগেরটা দেখেছি, পড়েছি। মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ হয়েছিল। আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি পরের তদন্তে তারা বেশকিছু অনিয়ম পেয়েছেন। কোন কোন কেন্দ্রের সিসিটিভি ডিসকানেক্ট করা হয়েছে, ১৭টি বা এমন সংখ্যা হয়েছে বলে শুনেছি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে চান উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, সুষঠু নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রচেষ্টা তা অব্যাহত থাকবে। ভোট মনিটরিংয়ের জন্য তিনশ আসনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা সম্ভব বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আগামী সপ্তাহের মধ্যে অনিয়মের তথ্য ও ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত জানা যাবে উল্লেখ করে আনিছুর রহমান বলেন, অনিয়মে ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে। কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কী হবে..। সবাই তো একই অপরাধে অপরাধী হবেন না। অপরাধের মাত্রা ভিন্ন হবে। সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্তও প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হবে।
দুই তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, (তদন্ত প্রতিবেদনের) প্রথম অংশের জন্য আমরা প্রত্যেকে মতামত দিয়েছি। দ্বিতীয় অংশ দেখে চূড়ান্ত মন্তব্য করা হবে। সবার মন্তব্য সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত আসবে।
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, (গাইবান্ধা উপনির্বাচনে) অনিয়ম তো হয়েছে। এটা তো কেউ অস্বীকার করছেন না। যারা তদন্ত করছেন তারাও অনিয়মের কথা বলেছেন। আমরাও দেখেছি অনিয়ম হয়েছে। অনিয়মের শাস্তি আইন ও বিধিতে যেটা আছে সেটাই হবে। অনিয়মে সর্বোচ্চ শাস্তি থাকে আবার সর্বনিম্ন শাস্তিও থাকে। অপরাধের মাত্রা দেখে শাস্তি হবে।
তিনি বলেন, শাস্তি কী হবে সেটা আইন ও বিধিতে স্পষ্ট করা আছে। কোথাও বিভাগীয় ব্যবস্থা হবে। কোথাও মামলা হবে। ফৌজদারি অপরাধ করলে তো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
এসময় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে কী না এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলেও উল্লেখ করেন আনিছুর রহমান।
তিনশ আসনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন সম্ভব কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, টেকনিক্যালি সম্ভব। হিউম্যানলি সম্ভব কি না পরীক্ষা করে দেখছি। তিন/চার লাখ ক্যামেরা লাগানো কঠিন কিছু নয়। কীভাবে আমরা মনিটর করবো সেটার ম্যাকানিজম তো তৈরি করতে হবে। চার লাখ সিসিটিভি মনিটর করতে হলে কতটা জায়গা লাগবে। কত লোকবল লাগবে সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার আছে। এটা পরে দেখা হবে।
সময় জার্নাল/এলআর