কেউবা করে আর্জেন্টিনা কেউবা ব্রাজিল,
অনেকে আবার সাপোর্ট করে জার্মানির ওজিল।
শুভবুদ্ধি, সৌন্দর্য আর সততার বেলায়,
সাপোর্টারের সংখ্যা এখন খুঁজে পাওয়াই দায়।
ভারত আর পাকিস্তানের সাপোর্টারের শেষ নাই,
আবেগী সাপোর্টাররা বলে পতাকার নাকি দেশ নাই।
নিজের টাকায় পতাকা বানায় দেশের করে ক্ষয়,
দেশপ্রেমের বেলায় কিন্তু এদের যত ভয়!
পরের দেশের জন্য এদের ভালোবাসা উতলায়,
নিজ দেশের কাজের বেলায় দুর্নীতির আখড়ায়।
বিনোদন আর খেলাধুলার নামে চলবে কত আর,
বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যায় ,অবিচার ,ঘুষের সাপোর্টার।
সাপোর্টাররা কখনো কখনো হয় আবার খুদে
কেউ আবার আনন্দের ঠেলায় ডুবে থাকে মদে।
পছন্দ আর অপছন্দে আবাল -বৃদ্ধ - বনিতা ,
সাপোর্টাররা মিলিয়ে যায় ভুলে রাজনীতির ভনিতা।
কেউ আবার ধর্ম খুঁজে কেউবা খোঁজে যুদ্ধ,
বিবেকবান সাপোর্টাররা হয় হতবুদ্ধ।
অসার কাজে রয়েছে যত আমাদের দেশে সাপোর্টার,
ঘৃণা আসে যারা এদেশের নারী -কড়ি করে পাচার।
যুব সমাজ মুখোমুখি অন্যায় আর অবক্ষয়,
সাপোর্টাররা উৎসাহ দেয় কেনো থাকো অপেক্ষায় ।
একটু যখন বড় হয়ে সামনে যায় এগিয়ে,
নেশা বিক্রির সাপোর্টাররা এদের ন্যায় ভাগিয়ে।
কিছু জড়ায় অলসতায়, ইভটিজিংয়ের ভিশনে,
স্বার্থসিদ্ধি হয়ে গেলে জড়ায় কিলিং মিশনে।
এত কিছুর পরেও কিন্তু সাপোর্টার তাদের কম নয়,
গোপন তথ্য ফাঁস হলে তাদের চরিত্র প্রকাশ পায়।
আধুনিকতার মোড়কে তারা করে কত বন্দনা,
সাপোর্টার এখন বুঝিয়া যায় তারা কিন্তু অন্ধ না।
প্রযুক্তির গন্ধে শিশু হচ্ছে হৃদয়হীন,
শিশুশ্রম ,নিপীড়ন কবে হবে সাপোর্টহীন।
লেখক: মোঃনিজাম উদ্দিন সাইফ,
ইংরেজি বিভাগ, সুবিদখালী সরকারি কলেজ, মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী।